Advertisement

Chandrababu Birth Rates: দুই বা তার বেশি সন্তান হলেই দারুণ সুযোগ, জন্মহার বাড়াতে বড় ঘোষণা অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রীর

Chandrababu Andhra Pradesh: এতদিন জনসংখ্যা বেড়ে যাওয়া নিয়েই সবাই আশঙ্কা করতেন। কিন্তু এবার জনসংখ্যা কমা নিয়েও তৈরি হচ্ছে উদ্বেগ। এমনই প্রেক্ষাপটে রবিবার অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নয়া ঘোষণা করলেন। বললেন, অন্ধ্র সরকার এমন একটি আইন আনার পরিকল্পনা করছে, যাতে  দুই বা তার বেশি সন্তান আছে, এমন অভিভাবকরাই স্থানীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন।

জন্মহার বাড়াতে বড় ঘোষণা চন্দ্রবাবু নাইডুর।
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 21 Oct 2024,
  • अपडेटेड 8:46 AM IST

Chandrababu Andhra Pradesh: এতদিন জনসংখ্যা বেড়ে যাওয়া নিয়েই সবাই আশঙ্কা করতেন। কিন্তু এবার জনসংখ্যা কমা নিয়েও তৈরি হচ্ছে উদ্বেগ। এমনই প্রেক্ষাপটে রবিবার অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নয়া ঘোষণা করলেন। বললেন, অন্ধ্র সরকার এমন একটি আইন আনার পরিকল্পনা করছে, যাতে  দুই বা তার বেশি সন্তান আছে, এমন অভিভাবকরাই স্থানীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন।

মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু অন্ধ্রপ্রদেশের বয়স্কদের জনসংখ্যা বাড়তে থাকা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। দীর্ঘ মেয়াদে জনসংখ্যার ভারসাম্য রক্ষার জন্য বেশি সন্তানের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন। বলেন, 'সরকার এমন একটি আইন আনতে চলেছে, যাতে শুধুমাত্র দুই বা তার বেশি সন্তান থাকলেই স্থানীয় নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া যাবে।'

চন্দ্রবাবু নাইডু আরও জানান, দক্ষিণ ভারতের অনেক অংশেই ইতিমধ্যেই বয়স্কদের জনসংখ্যা বেশি, বিশেষত অন্ধ্রপ্রদেশে। যদিও ২০৪৭ সাল পর্যন্ত ভারতে জনসংখ্যাগত অ্যাডভান্টেজ থাকবেই। তবে এই ট্রেন্ড চিন্তাজনক। বেশিরভাগ পরিবারেই এখন 'হম দো, হামারে এক'। অর্থাৎ, দু'জন অভিভাবক থেকে একজন সন্তান হচ্ছে। এর ফলে দীর্ঘ মেয়াদে জনসংখ্যা ব্যাপক হারে কমতে পারে।

অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের গ্রামের যুবসমাজের শহরমুখী হওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। ফলে বেশিরভাগ জায়গায় কেবল বয়স্ক লোকজনই রয়ে গিয়েছেন। এছাড়াও, রাজ্যের প্রজনন হার ১.৬-এ নেমে এসেছে। এটি জাতীয় গড় ২.১-এর থেকে অনেক কম। 

জনসংখ্যা কমলে কী সমস্যা?

১. কর্মী সংকট: কম জনসংখ্যা হলে শ্রমশক্তি কমে যায়। এটি দেশের উৎপাদনশীলতা হ্রাস করে।

২. অর্থনৈতিক বৃদ্ধির ক্ষতি: কর্মক্ষম মানুষের অভাবে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হয়।

৩. বয়স্কদের যত্নের সমস্যা: বেশি সংখ্যায় বয়স্ক মানুষের জন্য যথাযথ স্বাস্থ্য পরিষেবা এবং সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা বজায় রাখা কঠিন হয়।

৪. যুব সম্প্রদায়ের অভাব: নতুন নতুন প্রযুক্তির জন্য যুবসমাজই প্রয়োজন। যুবকদের সংখ্যা কমে গেলে কোনও দেশের উদ্ভাবন, বিজ্ঞান, প্রযুক্তির ক্ষেত্র দুর্বল হতে পারে।

Advertisement

জন্মহার ব্যাপক হারে কমানোর জন্য এখন পস্তাচ্ছে চিন

অনেকেই জানেন, এক সময় চিন জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের কড়া নিয়ম এনেছিল। সীমিত সম্পদ এবং খাদ্য নিরাপত্তার জন্য এই সিদ্ধান্ত ছিল।

তবে জন্মহার কমার ফলে চিনের শ্রমশক্তির সংকট, বৃদ্ধদের সংখ্যা বৃদ্ধি, অর্থনৈতিক বৃদ্ধিতে রাশ, সামাজিক পরিষেবা ব্যবস্থায় চাপ এবং গবেষণা ও উদ্ভাবনে নেতিবাচক প্রভাব আসতে শুরু করেছে। এই নিয়ে বর্তমানে রীতিমতো উদ্বিগ্ন চিন।

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement