ত্রিপুরায় (Tripura) ফের তৃণমূলের ওপরে আক্রমণের অভিযোগ। এবারেও কাঠগড়ায় বিজেপি (BJP)। তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দার ও দোলা সেনের গাড়িতে হামলার অভিযোগ। গাড়িতেও ভাঙচুর চালান হয়েছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের (TMC)। যদিও যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি।
জানা গিয়েছে, রবিবার ত্রিপুরায় স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন অপরূপা পোদ্দার (Aparupa Poddar) ও দোলা সেন (Dola Sen)। অভিযোগ, সেই অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে হামলা চালান হয় তাঁদের গাড়িতে। হামলায় অপর একজনের মাথা ফেটেছ বলে জানা যাচ্ছে। সাংসদ অপরূপা পোদ্দারের অভিযোগ, পুলিশই বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের খবর দিচ্ছে। এমনকী তাঁরা খুন হয়ে যান, এমনটাই পুলিশ চাইছে বলেও দাবি করেন অপরূপা। যদিও গেরুয়া শিবির অবশ্য তৃণমূলের সমস্ত অভিযোগই অস্বীকার করেছে।
আগেও হয়েছে হামলা
প্রসঙ্গত, এই নিয়ে বিগত কয়েকদিনে ত্রিপুরায় পরপর আক্রান্ত হল তৃণমূল। প্রথমে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়ে হামলার অভিযোগ ওঠে। তার কিছুদিন পরেই ত্রিপুরায় (Tripura) গিয়ে হামলার মুখে পড়েন দেবাংশু ভট্টাচার্য, জয়া দত্ত, সুদীপ রাহারা। ইটের আঘাতে মাথা ফাটে সুদীপ রাহার। বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে তৃণমূলের ১৪ জনকে গ্রেফতারও করে পুলিশ।
সেই ঘটনায় রীতিমতো উত্তেজনা ছড়ায় বাংলা ও ত্রিপুরা রাজনীতিতে। পরেরদিন তড়িঘড়ি ত্রিপুরায় পৌঁছান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee), কুণাল ঘোষ, ব্রাত্য বসু ও দোলা সেন। খোয়াই থানায় পুলিশ আধিকারিকের সঙ্গে তীব্র বাদানুবাদে জড়ান তৃণমূল নেতৃত্ব। পরে অবশ্য আদালতে জামিন পান তৃণমূল নেতানেত্রীরা। সেই ঘটনায় পালটা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, কুণাল ঘোষ, ব্রাত্য বসু, দোলা সেনেরা নামে এফআইআর করে ত্রিপুরা পুলিশ।