অযোধ্যা জুড়ে সাজ সাজ রব। রাম লালার প্রাণ প্রতিষ্ঠাকে কেন্দ্র করে রেল স্টেশন থেকে বিমানবন্দর সেজে উঠেছে। রেলস্টেশনের নাম পরিবর্তনের পর এবার বদলাল বিমানবন্দরের নাম। হল মহর্ষি বাল্মিকি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর অযোধ্যা ধাম। এখনও পর্যন্ত এই বিমানবন্দরটিকে মর্যাদা পুরুষোত্তম শ্রীরাম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বলা হত। এর আগে অযোধ্যা রেলওয়ে জংশনের নাম পরিবর্তন করে অযোধ্যা ধাম করা হয়েছিল।
১১ জানুয়ারি, ২০২৪ থেকে আহমেদাবাদ এবং অযোধ্যার মধ্যে সপ্তাহে তিন দিন বিমান পরিষেবা শুরু হবে। প্রথম ধাপে অযোধ্যা থেকে দিল্লি ও আহমেদাবাদে বিমান পরিষেবা শুরু হতে চলেছে। ৬ জানুয়ারি, প্রথম বিমান দিল্লি থেকে সকাল ১১.৫৫ মিনিটে যাত্রা করবে। অযোধ্যায় ১টা ১৫ মিনিটে তা পৌঁছবে। এই ফ্লাইটটি অযোধ্যা থেকে ছেড়ে যাবে দুপুর ১.৪৫ মিনিটে এবং দিল্লি পৌঁছাবে বিকেল ৩টেয়।
৬ জানুয়ারি থেকে বাণিজ্যিক বিমান
ইন্ডিগো জানিয়েছে, মরিয়াদা পুরুষোত্তম শ্রীরাম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বিমান পরিষেবা প্রথম পর্যায়ে শুরু হবে। অযোধ্যা থেকে দিল্লি এবং আহমেদাবাদে উড়বে বিমান। ৬ জানুয়ারি থেকে অযোধ্যার জন্য বাণিজ্যিক বিমান পরিষেবা শুরু করবে।
বিমানের টাইম টেবিল
বিমান সংস্থার বিবৃতি অনুসারে, দিল্লি থেকে প্রথম বিমানটি ৩০ ডিসেম্বর অযোধ্যা বিমানবন্দরে পৌঁছবে। এর পরে, পরের বছর ৬ জানুয়ারি, ২০২৪ থেকে দিল্লি এবং অযোধ্যার মধ্যে সরাসরি বিমানগুলি পরিচালনা শুরু হবে। এরপর আহমেদাবাদ এবং অযোধ্যার মধ্যে ১১ জানুয়ারি, ২০২৪ থেকে সপ্তাহে তিন দিন বিমান পরিচালনা শুরু করবে। ৬ জানুয়ারি, প্রথম বাণিজ্যিক বিমান দিল্লি থেকে সকাল ১১টা ৫৫ মিনিটে যাত্রা করবে। অযোধ্যায় ১টা ১৫ মিনিটে পৌঁছবে। এই বিমানটি অযোধ্যা থেকে ছেড়ে যাবে দুপুর ১.৪৫ মিনিটে এবং দিল্লি পৌঁছাবে বিকেল ৩টেয়। বর্তমানে, ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সে ৬জানুয়ারি দিল্লি থেকে অযোধ্যা যাওয়ার ভাড়া ৭,৭৯৯ টাকা।
রাম মন্দিরের আদলে তৈরি হয়েছে অযোধ্যার বিমানবন্দর
অযোধ্যা বিমানবন্দরের টার্মিনালও তৈরি করা হয়েছে অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণভাবে। রামের নগরীতে নির্মিত বিমানবন্দরের একটি বড় বিশেষত্ব হল এটি একটি মন্দিরের আদলে তৈরি করা হয়েছে। সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য বিমানবন্দরের দেওয়ালে রামায়ণ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ ছবি প্রদর্শন করা হয়েছে। বিমানবন্দরের স্থাপত্য ও নকশা খুবই বিশেষ। এটি সম্পূর্ণরূপে শ্রী রামের জীবন দ্বারা অনুপ্রাণিত।