বাংলাদেশের হিন্দুদের পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। ইসকন পুণ্ডরিক ধাম, চট্টগ্রাম, বাংলাদেশের সভাপতি চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতারের পর পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে হিন্দু একতা যাত্রা থেকে হিন্দুদের উদ্যেশ্যে বার্তা দিলেন বাগেশ্বর বাবা। তিনি বলেন, "ভারতের হিন্দুদেরও বোঝা উচিত। আমরা নিজেদের জন্য মরছি না, নইলে এক এক করে সব মন্দির মসজিদে পরিণত হবে।"
বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর অত্যাচার বেড়ে যাওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। এদিকে চট্টগ্রাম ইসকন ধামের সভাপতি চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে (চিন্ময় প্রভু) রগ্রেফতা করেছে ঢাকা পুলিশ। চিন্ময় প্রভু শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার নিয়ে আওয়াজ তুলেছেন। শুক্রবার রংপুরে এক প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন তিনি। বাংলাদেশ পুলিশ বলছে, চিন্ময় প্রভুর সমাবেশে দেশের জাতীয় পতাকার অবমাননা করা হয়েছে।
'বাংলাদেশে হিন্দুরা কাপুরুষ হলে...'
চিন্ময় দাস মামলায় ধীরেন্দ্র শাস্ত্রীর বক্তব্য এসেছে। তিনি বলেন, "বাংলাদেশের হিন্দুরা কাপুরুষ হলে কেউ তাদের মুক্ত করতে পারবে না। আপনাদের মাধ্যমে যদি বাংলাদেশের হিন্দুদের কাছে আমাদের বার্তা পৌঁছয়, তাহলে এখানে যেমন পদযাত্রা হচ্ছে, আপনারাও রাজপথে নামুন। আপনার সংস্কৃতির রক্ষককে সমবেত কণ্ঠে বাঁচান। তাদের বের করে দিন। নইলে এক এক করে সব মন্দির মসজিদে পরিণত হবে। বোন ও মেয়েরা হয় ধর্মান্তরিত হবে অথবা তাদের হত্যা করা হবে। তাই ভারতের হিন্দুরাও বুঝুন। আমরা নিজেদের জন্য মরছি না।"
তিনি আরও বলেন, "দিনরাত ঝুঁকি নিয়ে বেঁচে থাকা। ১০০ কোটি হিন্দুদের এই উদ্বেগের কারণেই আমরা রাস্তায়, গ্রামে, প্রতিটি অলিতে-গলিতে বসে পিছিয়ে পড়া এবং বিচ্ছিন্ন মানুষের সঙ্গে আলোচনা করছি। বাংলাদেশের হিন্দুদের সঙ্গে আছি। রাজপথে আসুন, নাহলে ভবিষ্যতে হিন্দুদের পক্ষে কেউ আওয়াজ তুলবে না।"
আজ, বাগেশ্বর ধামের ধীরেন্দ্র কৃষ্ণ শাস্ত্রীর 'হিন্দু একতা যাত্রা'-র ষষ্ঠ দিন। এই যাত্রা যাবে ঝাঁসির মৌরানিপুর থেকে ঘুগসি গ্রামে। এদিন যাত্রার সময়,তাঁর দিকে একটি মোবাইল ফোন ছুড়ে আসে, যা তাঁর গালে গিয়ে লাগে। ফোনটি পরে পাওয়া যায়। এই যাত্রায় অভিনেতা সঞ্জয় দত্ত এবং দ্য গ্রেট খালিও অংশ নিয়েছেন। এছাড়াও বিজেপির সাধারণ সম্পাদক কৈলাশ বিজয়বর্গীয়, বিজেপি বিধায়ক রাজেশ্বর শর্মা এবং কংগ্রেস বিধায়ক জয়বর্ধন সিং সহ অনেক নেতা তার যাত্রাকে সমর্থন করেছেন।
জাতপাতের ফাঁদ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে: ধীরেন্দ্র শাস্ত্রী
এই যাত্রা শুরু করার সময় ধীরেন্দ্র শাস্ত্রী বলেন, "আমাদের সবাইকে জাতপাতের ফাঁদ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।" তিনি স্লোগান তুলে আরও বলেন, "জাত বিদায়, আমরা হিন্দুরা সবাই ভাই ভাই।" আরও বলেন, সমস্ত তীর্থযাত্রীদের একটিই লক্ষ্য যে সনাতন ধর্ম শক্তিশালী হতে হবে, নিজেদের মধ্যে ঐক্য থাকতে হবে, কোনও ভেদাভেদ থাকা উচিত নয়।