আর মাত্র ৪৮ ঘণ্টা। তারপরেই অযোধ্যায় রামমন্দিরে প্রাণ প্রতিষ্ঠা। তার আগে কঠোর নিয়ম মেনে চলছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সমস্ত আচার-অনুষ্ঠান, কঠিন রীতিনীতি মানছেন। ১১ দিনের শুদ্ধ অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়েও যাচ্ছেন তিনি। এটি 'যমের নিয়ম' নামে পরিচিত। এই যম আসলে সংযম থেকে এসেছে।
বিশেষ মন্ত্রপাঠ
১১ দিনের এই বিশেষ সময়ে একটি বিশেষ মন্ত্রও উচ্চারণ করছেন প্রধানমন্ত্রী। সূত্রের খবর, আধ্যাত্মিক জগতের সঙ্গে যুক্ত কয়েকজন যোগী পুরুষের কাছ থেকে এই বিশেষ মন্ত্র গ্রহণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
প্রধানমন্ত্রী প্রতিদিন সকালে ব্রহ্ম মুহুর্তে এই মন্ত্র পাঠ করছেন। প্রায় ১ ঘণ্টা ১১ মিনিট ধরে তিনি মন্ত্র উচ্চারণ করছেন।
১১ দিনের কঠিন নিয়মবিধির মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল এই মন্ত্রোচ্চারণ।
১২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী নিজেই তাঁর এই ১১ দিনের যাত্রার বিষয়ে জানিয়েছিলেন। ২২ জানুয়ারি অযোধ্যার রাম মন্দিরে রাম লালার মূর্তির 'প্রাণ প্রতিষ্ঠা' অনুষ্ঠান। তার আগে ১১ দিনের এই বিশেষ 'অনুষ্ঠান' শুরু করবেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
অডিও বার্তায়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, তিনি এই 'ঐতিহাসিক' এবং 'শুভ' অনুষ্ঠানের সাক্ষী হতে পেরে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছেন।
রামমন্দির উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আগে ১১ দিনের 'অনুষ্ঠান'
প্রধানমন্ত্রী এই ক'দিন কঠোর নিয়ম মেনে চলবেন। যেমন মেঝেতে ঘুমানো, শুধুমাত্র নারকেল জল পান করা, গো-পূজা (গরু পুজো) করা এবং বিভিন্ন ধর্মীয় কাজে যুক্ত থাকা। এছাড়াও 'অন্নদান' এবং বস্ত্র দানের মতো কাজে যুক্ত থাকতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, তিনি তাঁর ব্যস্ত সময়সূচী এবং দায়-দায়িত্ব সামলেই কঠোরভাবে সমস্ত আচার-বিধি পালন করে চলবেন।
গত কয়েকদিনে, প্রধানমন্ত্রী নাসিকের রামকুন্ড এবং শ্রী কালারাম মন্দির, অন্ধ্রপ্রদেশের লেপাক্ষীর বীরভদ্র মন্দির, পুট্টপার্থী এবং গুরুবায়ুর মন্দির এবং কেরলের ত্রিপ্রয়ার শ্রী রামস্বামী মন্দির সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বেশ কয়েকটি মন্দির দর্শন করেছেন।