পটনা: নির্বাচনের দোরগোড়ায় বিহার। ২৮ অক্টোবর প্রথম দফার নির্বাচন। এনডিএ থেকে শুরু করে আরজেডি, জেডিইউ-- সব দলই প্রথম দফার শেষ লগ্নের প্রচারে ব্যস্ত। হেভিওয়েট নেতাদের জনসভার পাশাপাশি করোনা আবহে বিহারবাসীর বাড়িতে গিয়েও প্রচারে খামতি রাখছে না কোনও দল। প্রশ্ন হল, এ বারও কি নীতীশ কুমার সরকার ফিরবে? ABP-C Voter-এর জনমত সমীক্ষা (Bihar Opinion Polls 2020) বলছে, বিহারে পাল্লা ভারী এনডিএ-র দিকেই। দ্বিতীয় স্থানে থাকছেন আরজেডি-র তেজস্বী যাদব।
ABP-C Voter এর জনমত সমীক্ষা অনুযায়ী, নীতীশ কুমার+ পেতে পারে ১৩৫ থেকে ১৫৯টি আসন। লালু+ পেতে পারে ৭৭ থেকে ৯৮টি আসন, এলজেপি-র ঝুলিতে যেতে পারে ১ থেকে ৫টি আসন। অন্যান্যরা পেতে পারে ৪ থেকে ৮টি আসন। অর্থাত্ ২৪৩ আসনের বিহার বিধানসভায় যদি ভোটের শতকরা হিসেব ধরা হয়, নীতীশ + পেতে পারে ৪৩ শতাংশ, লালু+ ৩৫ শতাংশ ভোট। চিরাগ পাসওয়ানের এলজেপি পেতে পারে ৪ শতাংশ ভোট ও অন্যান্যরা ১৮ শতাংশ।
বিহারের সীমাঞ্চলে মোট ২৪টি আসন রয়েছে। ABP News-C Voter এর জনমত সমীক্ষা অনুযায়ী, নীতীশ কুমার ও এনডিএ জোট পাচ্ছে ১১ থেকে ১৫টি আসন। লালুর আরজেডি ও কংগ্রেসের জোট পেতে পারে ৮ থেকে ১১টি আসন। অন্যান্যরা ১টি করে আসন পেতে পারে। ভোটের শতকরা হিসেবে নীতীশ-সহ এনডিএ জোট ২৮ শতাংশ, লালুর ঝুলিতে ৪৬ শতাংশ, পাসওয়ানের ৪ শতাংশ ও অন্যান্য ২২ শতাংশ ভোট পেতে পারে।
মিথিলাঞ্চল
মিথিলাঞ্চলে মোট ৫০টি আসন। ABP News-C Voter এর জনমত সমীক্ষা অনুযায়ী, নীতীশ কুমার + পেতে পারে ২৭ থেকে ৩১টি আসন, লালু+ পেতে পারে ১৮ থেকে ২১টি আসন, পাসওয়ানের এলজেপি পেতে পারে ১ থেকে ৩টি আসন।
অঙ্গপ্রদেশ
বিহার নির্বাচনে অঙ্গপ্রদেশে নীতীশ কুমার+ পেতে পারে ১৬ থেকে ২০টি আসন, লালু+ পেতে পারে ৬ থেকে ১০টি আসন। পাসওয়ানের এলজেপি-র ঝুলিতে যেতে পারে ২টি আসন। অন্যান্য ১টি।
মগধ
মগধ অঞ্চলে মোট ৬৯টি আসন রয়েছে। জনমত সমীক্ষা বলছে, নীতীশ কুমার+ পেতে পারে ৩৬ থেকে ৪৪টি আসন, লালু+ পেতে পারে ২৩ থেকে ৩০টি আসন, অন্যান্যরা ২ থেকে ৩টি আসন।
উত্তর বিহার
এই অঞ্চলে রয়েছে মোট ৭৩টি আসন। ABP News-C Voter জনমত সমীক্ষা অনুযায়ী, নীতীশ+ পেতে পারে ৪৫ থেকে ৪৯টি আসন, লালু+ ঝুলিতে যাচ্ছে ২২ থেকে ২৬টি আসন, অন্যান্যদের ১ থেকে ২ আসন। চিরাগ পাসওয়ানের এলজেপি এই অঞ্চলে খাতা খুলতে পারবে না বলেই জনমত সমীক্ষা ইঙ্গিত।
বিহার বিধানসভার আসন সংখ্যা ২৪৩টি। ৩ দফায় হবে এবার বিহারের নির্বাচন। প্রথম দফায় ২৮ অক্টোবর হবে ভোট গ্রহণ। ১৬ টি জেলায় ৭১ টি নির্বাচন কেন্দ্র নিয়ে হবে প্রথম দফা। ৩১ হাজার পোলিং স্টেশন থাকবে। দ্বিতীয় দফার ভোট গ্রহণ হবে ৩ নভেম্বর। এই দফায় ১৭ টি জেলায় ৯৪ টি নির্বাচনী কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ হবে। থাকবে ৪২ হাজার পোলিং স্টেশন। ৭ নভেম্বর তৃতীয় দফায় ১৫ টি জেলায় ৭৮ টি নির্বাচনী ক্ষেত্র নিয়ে ভোট গ্রহণ হবে। ভোট পর্বের শেষ দিনের মনোনয়ন হবে ৮ অক্টোবর। এবার ভোটগ্রহণের সময় এক ঘণ্টা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। করোনা আক্রান্ত রোগীদের ভোট দানের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হবে। ভোট গ্রহণের শেষ দফায় কোয়ারেন্টাইনে থাকা ভোটাররা ভোট দিতে পারবেন বলে জানিয়েছে কমিশন।