Advertisement

Bilkis Bano Case : বিলকিসের ধর্ষকদের মুক্তি কেন? কেন্দ্র-গুজরাতকে নোটিশ সুপ্রিম কোর্টের

Bilkis Bano Case: বিলকিস বানো মামলায় দোষীদের মুক্তির বিরুদ্ধে দায়ের করা আবেদনে কেন্দ্রীয় সরকার এবং গুজরাত রাজ্য সরকারকে নোটিশ জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট। দু'সপ্তাহ পর এ বিষয়ে শুনানি হবে। ঘটনা হল, গুজরাত সরকার সাংবিধানিক অধিকারের অধীনে বিলকিস বানো মামলায় ১১ জন আসামিকে মুক্তি দিয়েছে।

বিলকিস বানো মামলায় ১১ জনকে মুক্তি দিয়েছে গুজরাত সরকার
Aajtak Bangla
  • নতুন দিল্লি,
  • 25 Aug 2022,
  • अपडेटेड 2:11 PM IST
  • বিলকিস বানো মামলায় দোষীদের মুক্তির বিরুদ্ধে দায়ের করা আবেদনে কেন্দ্রীয় সরকার এবং গুজরাত রাজ্য সরকারকে নোটিশ জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট
  • দু'সপ্তাহ পর এ বিষয়ে শুনানি হবে
  • বিলকিস বানো মামলায় ১১ জন আসামিকে মুক্তি দিয়েছে

Bilkis Bano Case: বিলকিস বানো মামলায় দোষীদের মুক্তির বিরুদ্ধে দায়ের করা আবেদনে কেন্দ্রীয় সরকার এবং গুজরাত রাজ্য সরকারকে নোটিশ জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট। দু'সপ্তাহ পর এ বিষয়ে শুনানি হবে। ঘটনা হল, গুজরাত সরকার সাংবিধানিক অধিকারের অধীনে বিলকিস বানো মামলায় ১১ জন আসামিকে মুক্তি দিয়েছে। 

গুজরাত সরকারের এই সিদ্ধান্তের তুমুল সমালোচনা হচ্ছে। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধী দলের নেতারা। এর পাশাপাশি বিজেপির সব নেতারাও সরব হয়েছেন।

গুজরাত সরকারের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। গুজরাত সরকারের এই সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানিয়েছেন সমাজকর্মী সুভাষিনী আলি-সহ চারজন। এই কথা শুনে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, প্রশ্ন হল গুজরাতের নিয়মে দোষীরা রেহাই পাওয়ার অধিকারী কি না? আমাদের দেখতে হবে অব্যাহতি দেওয়ার সময় এটি বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে কি না।

কমিটির সুপারিশে সিদ্ধান্ত নেয় গুজরাত সরকার
গুজরাতের গোধরায় ২০০২ সালের দাঙ্গার পর বিলকিস বানোকে গণধর্ষণ করা হয়েছিল। তার পরিবারের ৭ জনকেও হত্যা করা হয়। ২০০৮ সালে এ মামলায় ১১ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। 

এই দোষীদের মধ্যে একজন মুক্তির জন্য সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। আদালত মুক্তির সিদ্ধান্ত গুজরাত সরকারের ওপর ছেড়ে দিয়েছে। গুজরাত সরকার মুক্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে একটি কমিটি গঠন করেছিল। এই কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে সব অপরাধীকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

কী হয়েছিল?
২০০২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি গুজরাতের গোধরা স্টেশনে সবরমতী এক্সপ্রেসের কোচ পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এই ট্রেনে করে অযোধ্যা থেকে ফিরছিলেন কারসেবকরা। সেই কোচে বসা ৫৯ জন করসেবকের মৃত্যু হয়।

এর পর গুজরাতে দাঙ্গা শুরু হয়। দাঙ্গা থেকে বাঁচতে বিলকিস বানো তার মেয়ে ও পরিবারকে নিয়ে গ্রাম ছেড়েছিলেন।  ২০০২ সালের ৩ মার্চ বিলকিস বানো এবং তাঁর পরিবার যেখানে লুকিয়ে ছিলেন, সেখানে ২০-৩০ জনের একটি দল তলোয়ার ও লাঠি নিয়ে আক্রমণ করে।

Advertisement

বিলকিস বানোকে গণধর্ষণ করে। বিলকিস তখন ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। শুধু তাই নয়, তাঁর পরিবারের ৭ সদস্যকেও খুন করা হয়। বাকি ৬ সদস্য সেখান থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন।

সেই আসামিকে ছেড়ে দেওয়া হয়
এই মামলায় সিবিআই আদালত ১১ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে। কিন্তু এখন গুজরাত সরকারের সিদ্ধান্তের পর ১১ আসামিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

এই মামলায় মুক্তিপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন যশবন্তভাই নাই, গোবিন্দভাই নাই, শৈলেশ ভট্ট, রাধেশ্যাম শাহ, বিপিন চন্দ্র জোশী, কেসারভাই ভোহানিয়া, প্রদীপ মোর্ধিয়া, বাকাভাই ভোহানিয়া, রাজুভাই সোনি, মিতেশ ভাট এবং রমেশ চন্দনা।

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement