গৌতম আদানি ইস্যুতে বিজেপি-কে নিশানা করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তিনি আদানিকে গ্রেফতারের দাবিও তোলেন। তাঁর অভিযোগ, গৌতম আদানিকে বাঁচাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তা নিয়ে পাল্টা আক্রমণ শানাল বিজেপি। বিজেপির মুখপাত্র সম্বিত পাত্র সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, রাহুল গান্ধীর মিথ্যা অভিযোগ করার অভ্যাস রয়েছে।
সাংবাদিক বৈঠক থেকে সম্বিত পাত্র রাহুলের 'চৌকিদার চোর হ্যায়' বক্তব্যকে হাতিয়ার বানিয়ে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন। তিনি অভিযোগ করেন, ২০১৯ সালের ভোটের আগেও রাহুল গান্ধী 'চৌকিদার চোর হ্যায়' শ্লোগান তুলেছিলেন। একইভাবে রাফাল ইস্যু তুলেও মোদীকে অপমান করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু পরে সব পরিষ্কার হয়ে যায়। প্রমাণ হয়ে যায় রাহুল গান্ধী মিথ্যা বলছেন।
সম্বিত পাত্রর অভিযোগ, রাহুল গান্ধী এত অভিযোগ করলেও প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তি নষ্ট করতে পারেননি। তাঁর কথায়, 'রাহুল গান্ধীর এগুলো বলা অভ্যাস হয়ে গেছে। রাফাল নিয়েও তিনি এমনটা করেছিলেন। এসব বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি ভারতকে আক্রমণ করছেন।' আদানির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে পাত্র জানান, সংশ্লিষ্ট সংস্থা নিজস্ব পক্ষ উপস্থাপন করবে।
আদানিকে নিয়ে রাহুলের আনা অভিযোগের পাল্টা দেন সম্বিত। বলেন, 'ভুপেশ বাঘেল যখন ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, আদানি কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন। অশোক গেহলট সরকারের আমলেও আদানি বিনিয়োগ করেছিলেন। তিনি যদি দুর্নীতিপরায়ণ হন তাহলে বিনিয়োগ কেন নিলেন? কর্ণাটক সরকার কেন আদানিকে তার রাজ্যে বিনিয়োগের অনুমতি দিল? রাহুল গান্ধী আর বাঘেল কি আলাদা?'
আদানিকে নিয়ে কী বলেন রাহুল গান্ধী?
রাহুল গান্ধী বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলনে দাবি করেন, গৌতম আদানিকে অবিলম্বে গ্রেফতার করা উচিত। এর সঙ্গেই তিনি যোগ করেন, আদানিকে গ্রেফতার করা হবে না কারণ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর সঙ্গে যোগসাজশ করছেন। সংসদের শীতকালীন অধিবেশনেও আদানির বিষয়টি তোলা হবে, সাফ জানান রাহুল।
প্রসঙ্গত, আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে গৌতম আদানি ও তাঁর কোম্পানির কয়েকজনের বিরুদ্ধে। আমেরিকায় আদানির সোলার এনার্জি প্রোডাক্ট ও আদানি গ্রিন এনার্জি লিমিটেড সংক্রান্ত প্রজেক্টের কন্ট্রাক্ট দেওয়ার জন্য ২৬৫ মিলিয়ন ডলার ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। একইসঙ্গে এই তথ্য আমেরিকার ব্যাঙ্ক ও বিনিয়োগকারীদের থেকে লুকিয়ে রাখার অভিযোগও রয়েছে। আমেরিকান প্রসিকিউটররা দাবি করেছেন, কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এই চুক্তি পেতে ভারতীয় কর্মকর্তাদের টাকা ঘুষ দিতে সম্মত হয়েছেন।