কেন্দ্রের কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে কৃষকদের আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে দেশে। এদিকে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা ও রাজস্থানের দলীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমারও উপস্থিত ছিলেন। সব নেতাদের জনসাধারণের কাছে যাওয়ার এবং কৃষি আইন নিয়ে যে বিভ্রান্তি হয়েছে তা দূর করার চেষ্টা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এই বৈঠকে জেপি নাড্ডা নতুন কৃষি আইন সম্পর্কে দলীয় নেতাদের মতামত নিয়েছিলেন। এছাড়াও জাট কৃষকদের মধ্যে যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে তা নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও বিজেপি সদর দফতরে এই সভায় অংশ নিয়েছিলেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সঞ্জীব বালায়ণ, সাংসদ সত্যপাল সিংহ কৃষক নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের জন্য দলীয় সদর দফতরে উস্থত ছিলেন। এই বৈঠকে উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা ও রাজস্থান থেকে ১০ জন সংসদ সদস্য এবং বিজেপির ২৬জন বিধায়ক অংশ নিয়েছিলেন। এ ছাড়া কয়েকজন প্রাক্তন সংসদ সদস্য ও প্রাক্তন বিধায়করাও এই সভায় উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত ৮৩ দিন ধরে দিল্লি সীমান্তে কৃষকদের আন্দোলন চলছে। কেন্দ্রীয় সরকার ও কৃষক সংস্থাগুলির মধ্যে ১১ দফা বৈঠক নিষ্ফল হয়েছে। কৃষক আন্দোলনের উত্তাপ দিল্লি সীমান্ত হয়ে পশ্চিম উত্তর প্রদেশ এবং হরিয়ানায় পৌঁছেছে। বিরোধী দলগুলিও কৃষকদের বিক্ষোভে সামিল হয়েছে। কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইট হরিয়ানার কৃষক পঞ্চায়েতে পৌঁছেছেন। বিরোধী দলগুলি ইউপি, হরিয়ানা এবং রাজস্থানে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া কিষাণ পঞ্চায়েতেও অংশ নিচ্ছে।
কেন্দ্রের নতুন তিনটি কৃষি আইনের বিপরীতে ইউনাইটেড কিষাণ মোর্চার নেতৃত্বে সমস্ত কৃষক সংগঠন ২ মাসেরও বেশি সময় ধরে বিক্ষোভ জারি রেখেছে। আইন সংশোধনী চান না কৃষকরা। বরং কৃষক সংগঠনগুলি তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবি করছে।