মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে 'টাকার বদলে প্রশ্ন' মামলায় এথিক্স কমিটির রিপোর্ট শুক্রবার লোকসভায় পেশ হবে। যা নিয়ে আবারও কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ। তিনি বলেছেন, 'মা দুর্গা এসে গিয়েছেন, এখন আমরা দেখব। যখন মানবতার ধ্বংস হয়, তখন প্রথমে বুদ্ধির বিনাশ ঘটে। তারা 'বস্ত্রহরণ' শুরু করেছে, এবং এখন আপনারা মহাভারতের যুদ্ধের সাক্ষী হবেন।'
সাংসদ পদ থেকে মহুয়াকে বহিষ্কারের সুপারিশ করা রিপোর্টটি পেশ করা হবে স্পিকার ওম বিড়লার কাছে। এথিক্স কমিটির সুপারিশের পক্ষে লোকসভা ভোট দিলেই মহুয়াকে বহিষ্কার করা যেতে পারে। ৪ ডিসেম্বরই এই রিপোর্টটি পেশ করার কথা ছিল। কিন্তু এথিক্স কমিটিতে থাকা বিরোধী দলের নেতাদের আপত্তিতে সেটা হয়নি। তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আলোচনা চেয়েছিলেন বেশ কয়েকজন বিরোধী দলের সাংসদ।
বিজেপি সাংসদ বিনোদ সোনকারের নেতৃত্বে এথিক্স কমিটি ৯ নভেম্বর তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে রিপোর্ট গ্রহণ করে। এটি লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছে জমাও দেওয়া হয়েছিল। এথিক্স প্যানেলের ছয়জন সদস্য তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে রিপোর্টকে সমর্থন করেছিলেন, এর মধ্যে চারজন সদস্য এর বিরোধিতা করেন।
বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবের অভিযোগের ভিত্তিতে লোকসভার স্পিকার মহুয়ার বিরুদ্ধে এথিক্স প্যানেল তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি 'ক্যাশ ফর কোয়েরি'-র জন্য ব্যবসায়ী দর্শন হিরানন্দানির কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগও তোলেন। তিনি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জয় অনন্ত দেহদরাইয়ের চিঠির বিষয়টি তুলে ধরেছিলেন। তাতে বলা হয়েছিল যে ব্যবসায়ী দর্শন হীরানন্দানির নির্দেশে মহুয়া ক্রমাগত আদানি গোষ্ঠী এবং সংসদে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে নিশানা করেছিলেন। বিনিময়ে তিনি ব্যবসায়ীর কাছ থেকে উপহার পান। মহুয়ার বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ ছিল যে তিনি তাঁর সংসদীয় আইডির লগইন ও পাসওয়ার্ড হীরানন্দানিকে দিয়েছিলেন, যার কারণে ব্যবসায়ী সেই আইডি ব্যবহার করে মহুয়ার পক্ষে সংসদে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেছিলেন। এরপর লোকসভার স্পিকারের কাছে অভিযোগ করা হয় এবং তদন্ত চলে যায় এথিক্স কমিটির কাছে। এই মাসের শুরুতে লোকসভার এথিক্স কমিটি তদন্তের পরে লোকসভা থেকে মহুয়াকে বহিষ্কারের সুপারিশ করে। মহুয়া মৈত্র যদিও তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলেছেন।