Blood Price Hike: রক্তের দাম বাড়ল। রক্তদাতাদের সংগঠন খরচ বাড়ানোর প্রবল বিরোধিতা করে। তারপর নামনাত্র ফি বাড়ানো হয়েছে। বলা যেতে পারে, বড়সড় স্বস্তি থ্যালাসেমিয়া, হিমোফিলিয়া রোগী এবং তাঁদের পরিজনদের। কারণ চিকিৎসার জন্য তাঁদের নিয়মিত রক্তের প্রয়োঝন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক নতুন ফি ঘোষণা করে দিয়েছে।
৩ বছর পর রিভিশন হয়
স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে খবর, ৩ বছর পর পর রক্তের প্রসেসিং ফি রিভিশন হয়। যেমন ২০০৭ সালে প্যাকেটবন্দি লোহিত রক্তকণিকা আরবিসির দাম ৮৫০ টাকা ছিল। এখন তা হল এগারোশো টাকা। সেই দাম আরও বাড়াতে চেয়েছিল বেসরকারি স্বাস্থ্য় পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থার একাংশ। তবে রক্তদাতা সংগঠনের চাপে তা করা যায়নি।
রক্তদানের পর তার বিভিন্ন রকমের টেস্ট করা হয়। তারপর মানুষকে প্রয়োজন মতো দেওয়া হয়। তার জন্য একটা দাম ধরা হয়। সেই চার্জ কত হবে, তা পরিবর্তিত হবে কিনা, সে ব্যাপারে ৩ বছর অন্তর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ২০০৮ সালে ৮৫০ টাকা ছিল রেড ব্লাড সেলের দাম। সেটা রিভিশন করা হয় ২০১৪ সালে। তারপর থেকে তার কোনও বদল হয়নি।
আরও পড়ুন: পায়ে ফুটে উঠছে নীল শিরা, খুব সাবধান! গুরুতর সমস্যার লক্ষণ
আরও পড়ুন: সিপিআইএম-কেরলের জন্য ২৫ বছরের রোডম্যাপ পিনারাইয়ের, রাজ্য হবে Happiest State
আরও পড়ুন: 50MP ক্যামেরার Realme Narzo 50-এর আজ প্রথম সেল, Amazon-এ বড় ডিসকাউন্ট
দাম না-বাড়ানোর ব্য়াপারে তৎপর সংগঠন
২০১৪ সালের পর দাম যাতে না বাড়ে, সে ব্য়াপারে তৎপর হয় রক্তদাতাদের সংগঠন। তবে দাবি ওঠে, দাম বাড়ানোর। ন্যাশনাল ব্লাড ট্রান্সফিউশন কাউন্সিল (এনবিটিসি)-র এক্সপার্ট কমিটির বৈঠক হয়। অনেক তর্ক-বিতর্ক হয়। তারপর সিদ্ধান্ত নেওয়া বিভিন্ন উপাদানের দাম অল্প করে বাড়ানোর। না হলে লাগাতার বাড়তেই থাকবে।
এক ইউনিট রক্তের দামের মধ্যে তার পরীক্ষা, রাখার জন্য বিদ্যুতের খরচ, কর্মী বা ম্য়ানপাওয়ার, যাতাযাতের খরচ ধরা হয়। কেন্দ্র এই টাকা দেয় সরকারি প্রতিষ্ঠানের জন্য। তবে বেসরকারি জায়গায় এই ফি লাগে। থ্যালাসেমিয়া, হিমোফিলিয়া রোগীদের জন্য নিখররচায় রক্ত পাওয়ার ব্যবস্থা আছে।
রাজ্য সরকারকে বলা হয়েছে, যাঁরা বিপিএল তালিকাভুক্ত মানুষ, তাঁদের ক্ষেত্রে নির্দেশিকা তৈরি করতে পারে, যাতে তাঁদের কম টাকা দিতে হয়।
জানা গিয়েছে, বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান দাম কয়েক গুণ বাড়াতে চেয়েছিল। তবে বৈঠকে প্রবল আপত্তি ওঠে। তারপর আরও বৈঠক হয়। রক্তদাতা সংগঠনের পক্ষ থেকে আপত্তি জানানো হয়। বেশ কিছু নথিপত্রও দেওয়া হয়। বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান হিসেবের খরচ দেখাতে অনীহা প্রকাশ করে। এরপর দাম বাড়ানো বিশেষ গেল না। সারা ভারতে একই থাকবে এই দাম। রোগী পরিজন বেশ স্বস্তি পাবেন।
রক্তদাতা সংগঠনের বক্তব্য
টেকনিক্যাল ওয়ার্কিং গ্রুপের অন্যতম সদস্য এবং ফিবডোর নেতা বিশ্বরূপ বিশ্বাস জানান, অনেকগুলো বৈঠক হয়েছে। প্রসেসিং ফি যাতে না বাড়ানো হয়, সেই উদ্যোগ নেওয়া হয়। যে প্রসেসিং ফি রয়েছে, তাতে বিশেষ সমস্যা হওয়ার কথা নয়। বাড়ানোর খুব বেশি প্রয়োজনীয়তা নেই। সেই হিসেব, নিজেদের কথা তুলে ধরা হয়েছে।