ত্রিপুরা (Tripura)-র বিরোধী দল সিপিআইএম (CPIM)-কে বিঁধল তৃণমূল। বাংলার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (WB Education Minister Bratya Bose)-র আহ্বান, দল আপনাদের রক্ষা করতে পারছে না। আপনারা তৃণমূল (TMC)-এ আসুন।
প্রবল আক্রমণ
শনিবার তারা কড়া আক্রমণ করে সিপিআইএমকে। বাংলার শাসকদলের দাবি, ত্রিপুরায় সরকারের মদতে সন্ত্রাস চলছে। আর সিপিআইএম চুপ করে রয়েছে।
ব্রাত্য-বার্তা
এদিন বাংলার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (WB Education Minister Bratya Bose) সিপিআইএম (CPIM)-এর তুমুল সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, সেখানে সিপিআইএম ২৫ বছর শাসন ক্ষমতায় ছিল। ২০১৮ সালে বিজেপি তাদের হারিয়ে দেয়।
রাস্তায় নেই
সিপিআইএমকে বিঁধে তিনি বলেন, যখন বিজেপি আক্রমণ করছে, তখন রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল প্রতিবাদে রাস্তায় নামছে না। যদি আক্রান্তদের পাশে দল দাঁড়াতে না পারে, তা হলে বলব তাঁরা আমাদের সঙ্গে আসুন।
অহেতুক তৃণমূল বিরোধিতা নয়
তিনি বলেন, তৃণমূলের বিরোধিতা করে সিপিআইএমের উচিত হবে না বিজেপিকে সাহায্য করা। এগিতে, দিন কয়েক আগে তৃণমূল সেখানে আক্রান্ত হয়েছে বলে অভিযোগ। বাংলা থেকে তৃণমূলের একটি প্রতিনিধিদল গিয়েছিল সেখানে।
হামলার অভিযোগ
দিন কয়েক আগে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে। তবে বিজেপি সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা কোভিড বিধি ভেঙেছে বলে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছিল।
বিজেপির দাবি
তৃণমূলের সঙ্গে তাল মিলিয়েছে সিপিআইএম। এমনই দাবি করলেন ত্রিপুরার বিজেপি সাধারণ সম্পাদক টিঙ্কু রায়। সম্প্রতি তিনি ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছেন।
কলকাতার অভিজ্ঞতা
কলকাতায় প্রচার করতে গিয়ে বাধায় পড়েছিলাম। শারীরির নির্যাতন করা হয়েছিল। ফেসবুক পোস্টে এমনই দাবি করেছেন তিনি। টিঙ্কু রায় এসেছিলেন, অমিত শাহর কর্মসূচির প্রচারে। আর তখনই তাঁর ওপর হামলা হয়ে বলে অভিযোগ।
৮ আগস্ট
বছর কয়েক আগে ৮ আগস্টেই সেই ঘটনা ঘটেছিল বলে দাবি তাঁর। তিনি তৃণমূল সরকারের তুমুল সমালোচনা করেন। একই সঙ্গে বিঁধেছেন সিপিআইএম-কে-ও। তাঁর অভিযোগ, বাংলায় ভোটের পর বিজেপির ওপর অত্যাচার করছে তৃণমূল।
গাড়ি ভাঙচুর
এদিন টিঙ্কু রায় সেই ঘটনার কথা উল্লেখ করেন। সঙ্গে কিছু ছবিও শেয়ার করেছেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডা, বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ভাঙা গাড়ির সামনে রয়েছেন।
উৎখাতের হুঁশিয়ারি
দিন কয়েক আগে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায় বলেন, যতদিন না এদের উৎখাত করছি, ছাড়ব না। এদের যা জেদ, তার থেকে তিনগুণ জেদ আমার । আজকে তো জামিন হল, সত্যের জয় হল।
আইনশৃঙ্খলা নিয়ে তোপ
অভিষেক দাবি করেন, ত্রিপুরায় আইনশৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। গণতন্ত্র বলে কিছু নেই। এই ঘটনা এটাই প্রমাণ করে। যারা মারছে, তাদের প্রশাসন আড়াল করে রাখেছ। এটা কাদের জন্য করতে হচ্ছে, আমরা জানি। প্রশাসনকে দোষ দিই না। চাকরির স্বার্থে তাদের করতে হচ্ছে।
বিপ্লবকে চ্য়ালেঞ্জ
তিনি বলেন, বিপ্লব দেবের সরকার যদি ভাবে ভয় দেখিয়ে, দুটো পাথর মেরে, ১০টা গাড়ি ভেঙে তৃণমূলকের দমিয়ে রাখা যাবে, তা হলে ভুল করছে। মূর্খের স্বর্গে বাস করছে। যত হামলা হবে, তত জেদ বাড়বে।