পশ্চিমবঙ্গ-সহ দেশের ৬ রাজ্যের ৭টি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচনের ফল ঘোষণা শুরু হয়েছে। ৫ সেপ্টেম্বর এই ৭ আসনে ভোটগ্রহণ হয়েছিল। এই বছরের শেষের দিকে পাঁচটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। এছাড়াও ২০২৪ সালে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ লোকসভা নির্বাচন। তার আগে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) নেতৃত্বাধীন এনডিএ ও বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের জন্য এই উপনির্বাতন অ্যাসিড টেস্ট। যে ৭টি আসনে ভোটের ফল ঘোষণা চলছে সেগুলি হল- উত্তরাখণ্ডের বাগেশ্বর, উত্তরপ্রদেশের ঘোসি, কেরালার পুথুপ্পল্লী, পশ্চিমবঙ্গের ধুপগুড়ি, ঝাড়খণ্ডের ডুমরি এবং ত্রিপুরার বক্সানগর ও ধনপুর।
বাগেশ্বর, ধুপগুড়ি এবং ধনপুর আসন বিজেপির দখলে ছিল, ঘোসি আসনটি সমাজবাদী পার্টির দখলে ছিল। অন্যদিকে বক্সানগর সিপিএম, ডুমরি ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা এবং পুথুপ্পল্লী কংগ্রেসের হাতে ছিল। উত্তরপ্রদেশের ঘোসি বিধানসভা কেন্দ্রে ৫০ শতাংশের নীচে ভোট পড়েছে উপনির্বাচনে। ঝাড়খণ্ডের ডুমরিতে ভোট পড়েছে ৬৪.৮৪ শতাংশ এবং উত্তরাখণ্ডের বাগেশ্বরে ভোট পড়েছে ৫৫.৩৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। অন্যদিকে, ত্রিপুরার বক্সানগর এবং ধনপুরে যথাক্রমে ৮৬.৩৪ শতাংশ এবং ৮১.৮৮ শতাংশ ভোট পড়েছে। যেখানে বাংলার ধূপগুড়িতে ৭৪.৩৫ শতাংশ ভোট পড়েছে।
২০২২ সালে দারা সিং চৌহান ঘোসি আসনে জিতেছিলেন। তবে সমাজবাদী পার্টি থেকে পদত্যাগ করার পরে তিনি বিজেপিতে ফিরে আসেন। যার কারণে ঘোসিতে উপনির্বাচনের প্রয়োজন হয়। বিজেপি উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য চৌহানকেই প্রার্থী করে। অন্যদিকে, সমাজবাদী পার্টি সুধাকর সিংকে চৌহানের বিরুদ্ধে লড়তে মাঠে নামিয়েছে। বিজেপির প্রতিমা ভৌমিক লোকসভা আসন ধরে রাখার কারণে ত্রিপুরার ধনপুরে উপনির্বাচন হয়। কারণ তিনি বিধায়ক পদে পদত্যাগ করেছিলেন। ভৌমিকের ভাই বিন্দু দেবনাথ উপনির্বাচনের জন্য ধানপুরে লড়ছেন। তাঁর লড়াই সিপিএম প্রার্থী কৌশিক চন্দের বিরুদ্ধে।
ত্রিপুরার বক্সানগরে বিজেপি এবং সিপিএম একে অপরের বিরুদ্ধে লড়ছে। কারণ সিপিএম বিধায়ক সামসুল হকের মৃত্যুর পরে আসনটি খালি হয়েছিল। উত্তরাখণ্ডের বাগেশ্বর আসনে লড়াই সমাজবাদী পার্টি, কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে। বিজেপি বিধায়ক চন্দন রাম দাসের মৃত্যুতে বাগেশ্বর আসন খালি হয়েছিল। অন্যদিকে, কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা ওমেন চান্ডির মৃত্যুতে কেরালার পুথুপ্পল্লী আসনে উপনির্বাচন হচ্ছে। এখানে কংগ্রেসের হয়ে লড়ছেন ওমেন চান্ডির ছেলে, আর ক্ষমতাসীন দল সিপিএম এই আসন থেকে জ্যাক সি. থমাসকে প্রার্থী করেছে।
জেএমএম বিধায়ক জগরনাথ মাহতোর মৃত্যুর পরে ঝাড়খণ্ডের ডুমরিতে উপনির্বাচনের প্রয়োজন হয়। জেএমএম মাহতোর স্ত্রী বেবি দেবীকে প্রার্থী করেছে, যিনি এনডিএ-এর যশোদা দেবু এবং অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমীন (এআইএমআইএম) আবদুল রিজভির বিরুদ্ধে লড়ছেন। পশ্চিমবঙ্গের ধুপগুড়িতে বিজেপির বিষ্ণুপদ রায়ের মৃত্যুর পর উপনির্বাচন জরুরি হয়ে পড়েছিল। বিজেপি থেকে তাপসী রায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তাঁর লড়াই তৃণমূলের নির্মলচন্দ্র রায় এবং সিপিএম প্রার্থী ঈশ্বর চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে।