দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে তলব করল সিবিআই। তাঁকে ১৬ এপ্রিল জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাজির হতে বলা হয়েছে। আম আদমি পার্টির তরফে বলা হয়েছে, সিবিআই তদন্তে অরবিন্দ কেজরিওয়াল যোগ দেবেন। আপের আরও অভিযোগ, জাতীয় দলের মর্যাদা পেয়েছে আপ। সেই কারণে কেন্দ্রীয় সরকার চাপ তৈরি করতে চায়। আপ নেতা এবং রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিং সাংবাদিক বৈঠকে বলেছেন যে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করে সঞ্জয় সিং বলেছেন, 'যেদিন অরবিন্দ কেজরিওয়াল দিল্লি বিধানসভায় বলেছিলেন যে প্রধানমন্ত্রীর বন্ধুর কালো টাকাই প্রধানমন্ত্রীর কালো টাকা, আমি তাঁকে বলেছিলাম যে এবার আপনার নম্বর। বিজেপি প্রধানমন্ত্রীর দুর্নীতি ঢাকতে সবকিছু করবে।'
আরও পড়ুন: G20 Meetings In J&K & Ladakh: জম্মু-কাশ্মীরে ভারতের পদক্ষেপে গোঁসা পাকিস্তানের, পাল্টা মোদী সরকার
এই মামলায় দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়াও জেলে রয়েছেন। সিসোদিয়াকে ২৬ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতার করেছিল সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই)। মণীশ সিসোদিয়াকে জেলে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটও (ইডি)। জিজ্ঞাসাবাদের পর মণীশ সিসোদিয়াকে জেল থেকেই গ্রেফতার করেছিল ইডি। রিমান্ডে সিসোদিয়াকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি। মণীশ সিসোদিয়া এই মামলায় রাউজ অ্যাভিনিউ আদালতে আবেদন করে জামিন চেয়েছিলেন। কিন্তু আদালত তা গ্রহণ করেননি।
আবগারি দুর্নীতি মামলা কী?
দিল্লি সরকার ২০২১ সালের ১৭ নভেম্বর নতুন আবগারি নীতি কার্যকর করেছিল। এই নীতি কার্যকর করার পরে রাজস্ব ক্ষতির মুখে পড়ে দিল্লি সরকার। 2022 সালের জুলাইয়ে দিল্লির এলজি ভি কে সাক্সেনাকে রিপোর্ট জমা দিয়েছিলেন তৎকালীন মুখ্যসচিব। সেই রিপোর্টে মণীশ সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে মদ ব্যবসায়ীদের অযাচিত সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছিল। এলজি বিষয়টিতে সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করেছিল। এলজির সুপারিশের পরে সিবিআই ১৭ অগাস্ট মামলা নথিভুক্ত করে তদন্ত শুরু করে। এই মামলায় মণীশ সিসোদিয়া সহ ১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। ২২ অগাস্ট আবগারি নীতিতে অর্থ পাচারের একটি মামলাও নথিভুক্ত করেছিল ইডি। প্রায় ছয় মাস তদন্তের পর ফেব্রুয়ারি মাসে মণীশ সিসোদিয়াকে গ্রেফতার করে সিবিআই। সেই থেকে জেলে রয়েছে সিসোদিয়া।