করোনার দ্বিতীয় ঢেউতে (Corona Second Wave) অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যুর কোনও খবর নেই বলে দিন কয়েক আগেই সংসদে জানিয়েছিল সরকার। যার জেরে রীতিমতো সরগরম হয়ে ওঠে রাজনীতি। এবার সেই বিষয়ে নড়েচড়ে বসল সরকার। সূত্রের খবর, কেন্দ্রে তরফে রাজ্যগুলির থেকে অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যুর সংখ্যা চাওয়া হয়েছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউতে অক্সিজেনের অভাবে কত মানুষের মৃত্যু হয়েছে, রাজ্যগুলির থেকে সেই সংখ্যাই চেয়েছে কেন্দ্র।
সূত্রের খবর, কোভিড ১৯-এর দ্বিতীয় ঢেউতে দেশে অক্সিজেনের (Oxygen) অভাবে কত মানুষের মৃত্যু হয়েছে সেই সংখ্যা চলতি অধিবেশনেই সংসদে পেশ করা হতে পারে। সেক্ষত্রে আগামী ১৩ অগাস্ট সেই সংখ্যাটা সংসদে পেশ করা হতে পারে বলে সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, করোনা দ্বিতীয় ঢেউতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অক্সিজেনের অভাবে রোগী মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে। তবে দিন কয়েক আগে রাজ্যসভায় নরেন্দ্র মোদীর সরকার জানায়, দ্বিতীয় ঢেউতে অক্সিজেনের অভাবে কারও মৃত্যুর তথ্য রাজ্যগুলি দেয়নি। অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যুর প্রসঙ্গে রাজ্যসভায় প্রশ্ন তোলেন কংগ্রেস সাংসদ কেসি বেনুগোপাল। সেই প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে জানান হয়, দ্বিতীয় ঢেউতে অক্সিজেনের অভাবে কারও মৃত্যুর তথ্য রাজ্যগুলির তরফে দেওয়া হয়নি। রাজ্যসভায় সরকার জানায়, করোনায় মৃত্যুর তথ্য নিয়মিতভাবে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি স্বাস্থ্যমন্ত্রককে দেয়। তবে কোনও রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলই অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যুর তথ্য স্বাস্থ্যমন্ত্রককে দেয়নি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে আরও জানান হয়, প্রথম ঢেউয়ের চেয়ে দ্বিতীয় ওয়েভে অক্সিজেনের চাহিদা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছিল। প্রথম ঢেউতে যেখানে ৩,০৯৫ মেট্রিক টন অক্সিজেনের চাহিদা ছিল, দ্বিতীয় ঢেউতে তা বেড়ে পৌঁছায় ৯,০০০ মেট্রিক টনে। সরকার জানায়, দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় ২৮ মে-এর মধ্যে রাজ্যগুলিকে ১০,২৫০ মেট্রিক টন অক্সিজেন সরবরাহ করা হয়। তারমধ্যে মহারাষ্ট্র ও কর্ণাটককে ১,২০০ মেট্রিক টন করে অক্সিজেন দেওয়া হয়। রাজধানী দিল্লিকে দেওয়া হয় ৪০০ মেট্রিক টন অক্সিজেন।
যদিও সরকারের এই বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করে কংগ্রেস। এই প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) ট্যুইটারে লেখেন, "শুধুমাত্র অক্সিজেনই নয়, সংবেদনশীলতা ও সত্যেরও যথেষ্ট অভাব রয়েছে।" আর শুধু কংগ্রেসই নয়, বিজেপির কিছু কিছু নেতাও প্রকাশ্যেই সরকারের সেই বক্তব্যের বিরোধিতা করেন। তারপরেই সম্ভবত এই পদক্ষেপ কেন্দ্রের।