অবশেষে মিলল সাফল্য। চাঁদের মাটি ছুঁল চন্দ্রযান-৩। ইতিহাস গড়ল ISRO।
ঠিক কীভাবে চাঁদের মাটি ছুঁল চন্দ্রযান?
প্রথমে রাফ ব্রেকিংয়ের মাধ্যমে চন্দ্রযানের গতি কমানো হয়। প্রায় ৭-৮ মিনিট ধরে গতি কমানো হয়। অবতরণের ১৩ মিনিট আগে প্রায় ২৪ কিলোমিটার উচ্চতায় নেমে আসে চন্দ্রযান-৩। কন্ট্রোল রুমে সেই সময়ে টানটান উত্তেজনা।
৮০০ নিউটনের ৪টি থ্রোটল ইঞ্জিনের মাধ্যমে ল্যান্ডার মডিউলের অনুভূমিক গতি কমানো হয়। রাফ ব্রেকিংয়ের পর চন্দ্রযান-৩ চন্দ্রপৃষ্ঠের সঙ্গে এমন কৌণিক দিকে থাকবে, যাতে তার দুই অল্টিমিটারই সোজাসুজি চাঁদের দিকে থাকে।
সন্ধ্যা ৫.৫৮ নাগাদ ল্যান্ডার ১ কিলোমিটারের কাছে এসে যায়। শুরু হয় ভার্টিকাল ডিসেন্ট ফেজ।
এই পর্যায়ে চাঁদের মাটির দিকে মুখ করেই ল্যান্ডারের থ্রাস্টার জ্বলতে থাকে। এভাবে ধীরে ধীরে চাঁদের মাটির দিকে এগোতে থাকে চন্দ্রযান-৩।
এভাবে ধীরে ধীরে ৩৫০ মিটার উচ্চতা পর্যন্ত নামে ল্যান্ডার। সেখানে ২০-২২ সেকেন্ড হোভার বা এক স্থানে ভাসমান হয়ে থাকে ল্যান্ডার।
এরপর ১৫০ মিটার থেকে ২টি থ্রাস্টার জ্বলে ওঠে। একেবারে ধীরে ধীরে নেমে আসে চন্দ্রযান-৩। সন্ধ্যা ৬.০৪ নাগাদ চাঁদের মাটি ছুঁল ভারত।
দেখুন সেই মুহূর্তের ভিডিও:
আগের বার মন ভেঙেছিল দেশবাসীর। চন্দ্রযান-২-এর ল্যান্ডার সফলভাবে চন্দ্র পৃষ্ঠ স্পর্শ করতে পারেনি। ২.১ কিলোমিটারের কাছাকাছি উচ্চতায় এসে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরের সেই রাত এখনও অনেকের স্মৃতিতে অটুট।
এবারেও তাই ল্যান্ডিং নিয়ে এবারে বাড়তি উৎকণ্ঠা ছিল সকলের। সতর্ক ছিলেন ইসরোর বিজ্ঞানীরাও। তবে শেষ পর্যন্ত সফলভাবেই চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করে চন্দ্রযান-৩। গত ১৪ জুলাই দুপুর ২.৩৫ মিনিট নাগাদ লঞ্চ ভেহিকেল মার্ক-৩ রকেটে চড়ে চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছিল চন্দ্রযান।
এরপর ল্যান্ডারের ভিতর থেকে একটি রোভার(ছোট গাড়ি) গড়িয়ে নেমে আসবে। চাঁদের মাটিতে ঘুরে বেড়াবে ও তথ্য সংগ্রহ করবে গুরুত্বপূর্ণ বৈজ্ঞানিক তথ্যাদি৷ এতে নেভিগেশন ক্যামেরা এবং একটি সোলার প্যানেল।