'Chandrayaan 3' successful landing: চাঁদে পৌঁছে গেল ভারত। মাটি ছুঁয়েই বার্তা পাঠাল 'ভারত, আমি গন্তব্যে পৌঁছে গেছি আর আপনারাও'। সফল অবতরণের পর ট্যুইট ইসরোর। পাশাপাশি গোটা দেশবাসীকে শুভেচ্ছা বার্তা দেয় ইসরো। প্রথম দেশ হিসেবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করে 'চন্দ্রযান-৩'। একদম কাটায় কাটায় সন্ধে ৬টা ০৪ মিনিটে চাঁদের পৃষ্ঠে অবতরণ করে ল্যান্ডার বিক্রম। দেশজুড়ে উচ্ছ্বাস। ভারতের জয়জয়কার বিদেশের মাটিতেও।
বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসেবে এই সাফল্য অর্জন করেছে ভারত। ১৪০ কোটি মানুষের প্রার্থনা এবং সাড়ে ১৬ হাজার ISRO বিজ্ঞানীদের চার বছরের পরিশ্রম সার্থক হল আজ।
এরপর ল্যান্ডারের ভিতর থেকে একটি রোভার প্রজ্ঞান গড়িয়ে নেমে আসবে। চাঁদের মাটিতে ঘুরে বেড়াবে ও তথ্য সংগ্রহ করবে গুরুত্বপূর্ণ বৈজ্ঞানিক তথ্য৷ এতে নেভিগেশন ক্যামেরা এবং একটি সোলার প্যানেল।
প্রজ্ঞান রোভারে দুটি পেলোড আছে, তারা কী করবে?
১. লেজার ইনডিউসড ব্রেকডাউন স্পেকট্রোস্কোপ (LIBS)। এটি চাঁদের মাটিতে উপস্থিত রাসায়নিকের পরিমাণ এবং গুণমান অধ্যয়ন করবে। খনিজের সন্ধানও করবে।
২. আলফা কণা এক্স-রে স্পেকট্রোমিটার (আলফা পার্টিকেল এক্স-রে স্পেকট্রোমিটার - APXS)। এটি উপাদান অধ্যয়ন করবে। যেমন- ম্যাগনেসিয়াম, অ্যালুমিনিয়াম, সিলিকন, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, টিন এবং আয়রন আছে কিনা।
বিজ্ঞানীদের কী লাভ?
সামগ্রিকভাবে, বিক্রম ল্যান্ডার এবং প্রজ্ঞান রোভার একসঙ্গে চাঁদের বায়ুমণ্ডল, পৃষ্ঠতল, রাসায়নিক পদার্থ, ভূমিকম্প, খনিজ ইত্যাদি অনুসন্ধান করবে। এর মাধ্যমে ইসরো সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা ভবিষ্যতের গবেষণার তথ্য পাবেন। গবেষণা করা সহজ হবে। এটি বিজ্ঞানীদের জন্য সুবিধার হবে।