ছত্তিসগড়ের বস্তারে সুরক্ষাবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে খতম ৩০ জন মাওবাদী। এক সিনিয়র পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন, নারায়ণপুর-দান্তেওয়াড়া আন্তঃজেলা সীমানা আভুজমাদের থুলাথুলি এবং নেন্দুর গ্রামের মধ্যবর্তী জঙ্গলে দুপুর ১টার দিকে গুলির লড়াই শুরু হয়। এই অভিযানে ছিল ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড (ডিআরজি) এবং স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ) জওয়ানরা।
জানা গিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে ৩০ জন মাওবাদীর মৃতদেহ মিলেছে। পাওয়া গিয়েছে আধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র- একটি AK-47 রাইফেল এবং একটি SLR (সেলফ-লোডিং রাইফেল)। এছাড়া একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র ও নগদ উদ্ধার করেছে বাহিনী। চলতি বছর এখনও পর্যন্ত বস্তার অঞ্চলে একাধিক এনকাউন্টারে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে মারা গিয়েছে ১৭১ জন মাওবাদী। বলে রাখি, এই অঞ্চলে দান্তেওয়াড়া এবং নারায়ণপুর-সহ ৭টি জেলা রয়েছে।
ঘন জঙ্গলে মাওবাদীরা গা ঢাকা দিয়েছিল বলে গোপনসূত্রে জানতে পারে সুরক্ষাবাহিনী। তার ভিত্তিতে গোটা এলাকা ঘিরে চিরুনি অভিযান শুরু করেন জওয়ানরা। আচমকা গুলি চালাতে শুরু করে মাওবাদীরা। পাল্টা জবাব দেয় সুরক্ষাবাহিনী। মারা গিয়েছে ৩০ জন মাওবাদী। ২ ঘণ্টা ধরে ওই এলাকায় দফায় দফায় গোলাগুলি চলে। মাওবাদীদের অন্য সহযোগীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে কিনা তা জানতে এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছে।
কয়েকদিন আগে নারায়ণপুর জেলায় এনকাউন্টারে তিন মাওবাদী নিহত হয়। তাদের মাথার দাম ছিল ৪১ লাখ টাকা। ২৫ লক্ষ টাকা মাথার দাম থাকা রূপেশও ছিল মৃতদের তালিকায়। রূপেশ মাওবাদীদের ১০ নম্বর কোম্পানির নেতৃত্বে ছিল সে। মহারাষ্ট্রের গড়চিরোলিতে দাপিয়ে বেড়াত।
সুকমায় আত্মসমর্পণ করেছিল মাওবাদীরা
প্রথমবারের মতো এই গ্রামের এক মাওবাদী পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল। প্রশাসনের আত্মসমর্পণ নীতিতে ভরসা রাখে সে। মাওবাদীদের ব্যাটালিয়ন ১-এর কমান্ডার হিডমা ছত্তিশগড়ের মোস্ট ওয়ান্টেড নকশাল। যার উপর ছত্তিশগড় সরকার এক কোটিরও বেশি পুরস্কার রেখেছে। এপ্রিলের শুরুতে ডিকেএসজেডসি সদস্য জোগান্নাকে নারায়ণপুর জেলায় খতম করা হয়। একই সংগঠনের আর এক সদস্য রণধৌরকে ৩ সেপ্টেম্বর দান্তেওয়াড়া জেলায় খতম করে সুরক্ষাবাহিনী।