অবসরের আগে নিজের উত্তরসূরির নাম জানালেন দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। দেশের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি হিসাবে সঞ্জীব খন্নার নাম প্রস্তাব করলেন সুপ্রিম কোর্টের বর্তমান প্রধান বিচারপতি।
গত শুক্রবার প্রচার বিচারপতিকে চিঠি লিখেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। রীতি মেনে উত্তরসূরি কে হবেন, তাঁর নাম প্রস্তাব করতে চিঠি দিয়েছিল মোদী সরকার। সেই মতোই রীতি মেনে উত্তরসূরির নাম জানালেন তিনি। আগামী ৮ নভেম্বর অবসরগ্রহণ করবেন চন্দ্রচূড়।
চন্দ্রচূড়ের প্রস্তাব অনুমোদন করলে বিচারপতি খন্না হবেন ৫১ তম প্রধান বিচারপতি। ২০২৫ সালের ১৩ মে তিনি অবসরগ্রহণ করবেন। ভারতীয় বিচারব্যবস্থায় বিচারপতি হিসাবে উজ্জ্বল উপস্থিতি রয়েছে খন্নার। তিস হাজারি কোর্টে আইনি কেরিয়ার শুরু করেছিলেন তিনি। তারপরে কেটেছে দীর্ঘ কেরিয়ার। এবার প্রধান বিচারপতি হওয়ার পথে তিনি।
অন্য দিকে, সুপ্রিম কোর্টে লেডি জাস্টিসের চোখের পট্টি খুলে দেওয়া হল। আর অন্ধ নয় ন্যায়ের মূর্তি। এতদিন ন্যায়ের প্রতীক স্বরূপ লেডি জাস্টিসের যে মূর্তি দেখা যেত, যেখানে সাদা মূর্তিতে চোখে কালো পট্টি বাঁধা থাকত, সেই মূর্তি বদলে গেল। নতুন এই নারীমূর্তির চোখে আর কোনও পট্টি বাঁধা নেই। আগের মূর্তিতে লেডি জাস্টিসের এক হাতে দাঁড়িপাল্লা আর অন্য হাতে তরোয়াল ছিল। নতুন মূর্তিতে দেখা গিয়েছে, এক হাতে দাঁড়িপাল্লা, আর ইন্য হাতে সংবিধান। সুপ্রিম কোর্টে লেডি জাস্টিসের মূর্তিতে এমনই বদল ঘটানো হল।
সুপ্রিম কোর্ট সূত্রে খবর, এই নতুন মূর্তিটি গত বছর তৈরি করা হয়েছিল। ২০২৩ সালের সালের এপ্রিলে নতুন বিচারক গ্রন্থাগারের কাছে স্থাপন করা হয়েছিল মূর্তিটি। তবে এখন সেই মূর্তির ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। সাদা রঙের এই নতুন নারীমূর্তিটি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে নানা মহলে। ন্যায়ের প্রতিমূর্তি হিসাবে যে লেডি জাস্টিসের মূর্তি ছিল, তার চোখ কালো কাপড়ে বাঁধা ছিল। আইনের চোখে সকলেই সমান, এই বার্তাই দিত পট্টি বাঁধা চোখ। অর্থাৎ, বিচারের সময় আদালতের কাছে ক্ষমতা, সামাজিক মর্যাদা, ধনদৌলত কিছুই বিবেচ্য হবে না। সকলকে সমান চোখে দেখে বিচার করা হয়। আর ন্যায়মূর্তির এক হাতে তরোয়াল ছিল আইনের শাস্তি দেওয়ার ক্ষমতা। সেই মূর্তিরই ভোলবদল ঘটানো হল।