বিজেপি বিরোধী জোট 'ইন্ডিয়া'র চেয়ারপার্সন করা হতে পারে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেকে। শনিবার জোটের ভার্চুয়াল বৈঠকে চেয়ারপার্সন হিসাবে খাড়গের নামই প্রস্তাব করা হয়েছে বলে সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে। এই বৈঠকে যোগ দেয়নি তৃণমূল। জোটে এক জন আহ্বায়ক এবং চেয়ারপার্সন করা নিয়ে আলোচনা চলছিল।
আহ্বায়ক হিসাবে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের নাম উঠে এসেছিল। সূত্রের খবর, সেই প্রস্তাবে রাজি হননি বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। নীতীশের দল জানিয়েছে, তাদের নেতা কোনও পদ চান না। জোটে আহ্বায়ক কাকে করা হবে, তা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদবের সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
গত বছর ডিসেম্বরের বৈঠকে জোটের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে খাড়গের নাম প্রস্তাব করেছিলেন মমতা এবং দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সেই খাড়গেকেই জোটের চেয়ারপার্সন হিসাবে প্রস্তাব দেওয়া হল শনিবারের বৈঠকে। এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, এই প্রস্তাব অনেক আগেই তৃণমূল দিয়েছিল।
শুক্রবার সন্ধ্যার পর জানা যায় যে, শনিবার জোটের ভার্চুয়াল বৈঠক হবে। কিন্তু আগাম বৈঠকের কথা না জানানোয় শনিবারের বৈঠকে মমতা থাকবেন না বলে তৃণমূলের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়।
অন্য দিকে, জোটে আসন সমঝোতা নিয়ে জটিলতা অব্যাহত। বিশেষ করে, বাংলায় কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের জোট হবে কি না, এই নিয়ে জোর আলোচনা চলছে। মমতাকে ফের আক্রমণ করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। অধীর বলেছেন, 'এই মহিলা রাজীব গান্ধী এবং সনিয়া গান্ধীর নেতৃত্বে নেত্রী হয়েছেন। কতটা বেইমান, কতটা অহঙ্কারী। যাঁরা ওঁকে রাজনীতিতে নিয়ে এসেছেন, তাঁদের উনি অহঙ্কার দেখাচ্ছেন।' এখানেই থামেননি অধীর। তাঁর সংযোজন, 'সনিয়া গান্ধী আপনার কাছে ভিক্ষা চাইবেন না। আপনার অহঙ্কার ভেঙে যাবে এক দিন। আপনি আসলে মোদীর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারবেন না। তাই আসন রফা নিয়ে আপস করছেন না...।'