মর্মান্তিক ঘটনা। স্ত্রী ও ২ সন্তানকে নিয়ে বিষ খেলেন কংগ্রেস নেতা। কী কারণে আত্মহত্যা করলেন সবাই তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশ গোটা বাড়ি সিল করে তদন্ত শুরু করেছে। ওই কংগ্রেস নেতার নাম পঞ্চরাম যাদব। তাঁর বয়স ৬৫ বছর। তাঁকর সঙ্গে বিষ খেয়েছিলেন স্ত্রী ও দুই সন্তান। তাঁদের নাম যথাক্রমে দীনেশ নন্দিনী যাদব (৫৫), সুরজ ও নীরজ যাদব।
ঘটনা ছত্তিশগড়ের জাঞ্জগির চম্পা জেলার। সেই এলাকার প্রবীণ কংগ্রেস নেতা পঞ্চরাম যাদব। তিনি ১০ নম্বর ওয়ার্ডে স্ত্রী ও দুই পুত্রকে নিয়ে থাকতেন। ASP রাজেন্দ্র জয়সওয়াল জানান, ৩০ অগাস্ট পঞ্চরাম যাদব তাঁর স্ত্রী দীনেশ নন্দনী যাদব ও দুই ছেলে বিষ খান। অসুস্থ অবস্থায় তাঁদের চিকিৎসার জন্য জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তবে তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সবাইকে বিলাসপুরে রেফার করা হয়।
সেখানেও অবস্থার উন্নতি হয়নি। নীরজ যাদব সিমস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এরপর পঞ্চরাম যাদব, দীনেশ নন্দানি যাদব এবং সুরজ যাদবকে আরবি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে শেষরক্ষা হয়নি। ৩১ অগাস্ট গভীর রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনজনেরই মৃত্যু হয়।
কংগ্রেস নেতা পঞ্চরাম যাদব ঠিকাদারির কাজ করতেন। সেই কাজের সূত্রে তিনি আগে দুটি ব্যাঙ্ক থেকে ৪০ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। তিনি হার্টের রোগীও ছিলেন। স্ত্রী ক্যান্সারে ভুগছিলেন। বেসরকারি চাকরি করতেন নীরজ। ঠিকাদারের কাজ করতেন সুরজ।
পুলিশ জানিয়েছে, সম্ভবত পরিকল্পনা করে আত্মহত্যা করেন যাদব পরিবারের সদস্যরা। কারণ বাড়ির সামনের গেটে বাইরে থেকে তালা মেরে রেখে পিছনের গেট নিয়ে ঢুকেছিবেন বাড়িতে। তবে ঘটনা বেশিক্ষণ চাপা থাকেনি। পাড়ার এক মেয়ে তাঁদের বাড়িতে গেলে বিষয়টি জানাজানি হয়। দু-তিনবার ডাকাডাকি করেও দরজা না খুললে অপ্রীতিকর কিছুর আশঙ্কায় আশপাশের লোকজনকে খবর দেন। এরপর প্রতিবেশীরা বাড়ির ভেতরে গেলে সবাইকে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। তারপরই ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ।