হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের নতুন রিপোর্টে প্রকাশ্যে আসতেই সেবি-র বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুললেন কংগ্রেস নেতা ও বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। তাঁর নিশানায় কেন্দ্রের শাসক দল। রাহুল গান্ধী বলেন, ছোট খুচরো বিনিয়োগকারীদের সম্পদ রক্ষা করাই দায়িত্ব নিয়ন্ত্রক সংস্থা SEBI-এর। সেই সংস্থার সততাকে কাঠগড়ায় তুলে দিয়েছে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ওঠা গুরুতর অভিযোগ।
রাহুল গান্ধীর কথায়,'সারা দেশে সৎ বিনিয়োগকারীরা সরকারকে প্রশ্ন করছেন, সেবি চেয়ারপার্সন মাধবী পুরি এখনও কেন পদত্যাগ করেননি? বিনিয়োগকারীরা তাঁদের কষ্টার্জিত অর্থ হারালে কে দায়ী হবেন? প্রধানমন্ত্রী মোদী,সেবি চেয়ারম্যান বা গৌতম আদানি? অত্যন্ত গুরুতর অভিযোগ ওঠায়সুপ্রিম কোর্ট কি নিজের স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এই বিষয়টি আবার তদন্ত করে দেখবে?'
SEBI-র ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেসও। কেন্দ্রকে আক্রমণ করে কংগ্রেসের মুখপাত্র সুপ্রিয়া শ্রীনেত বলেছেন,'আদানির বিরাট কেলেঙ্কারি সকলের সামনে চলে এসেছে। র আগে যখন সমস্ত অভিযোগ তোলা হয়েছিল, তা সেবি-র কাছে যাওয়ার পরেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এখন জানা গেল যে সেবি চেয়ারম্যান নিজেই সেই তহবিলে বিনিয়োগ করেছিলেন'।
কংগ্রেস মুখপাত্র আরও বলেন,'এই কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত গৌতম আদানির ভাই বিনোদ আদানির। বুচ দম্পতি সিঙ্গাপুরে বিনিয়োগ করেছিল। এই বিনিয়োগটি ২০১৭ এবং ২০২২ সালের মধ্যে করা হয়েছিল। সেই সময় মাধবী বুচ SEBI-এর একজন পূর্ণকালীন সদস্য ছিলেন। সিঙ্গাপুরের ওই কোম্পানিতে তাঁর ১০০ শতাংশ অংশীদারিত্ব ছিল'।
সেবি প্রধানের অফশোর বিনিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন
কংগ্রেসের অভিযোগ, 'বুচ গৌতম আদানির ভাই বিনোদ আদানির যুক্ত অফশোর সংস্থার সঙ্গে সম্পর্কিত তহবিলে বিনিয়োগ করেছিলেন। রিপোর্টে আগোরা কনসালটিং উল্লেখ করা হয়েছে। যেটি মাধবী বুচের মালিকানাধীন একটি ফার্ম। এই কোম্পানি ভারতেও প্রচুর ব্যবসা করেছে। আগোরার মালিকানা থেকে SEBI-এর প্রধান হওয়া পর্যন্ত তাঁর উত্থান নিয়ে লেখা হয়েছে। বুচ কীভাবে তাঁর স্বামীর হাতে কোম্পানির নেতৃত্ব হস্তান্তর করেছিলেন তাও বিশদে রয়েছে।
হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ রিপোর্টের উদ্ধৃতি দিয়ে সুপ্রিয়া শ্রীনেত বলেন,'সেবি প্রধানের স্বামী ব্ল্যাকস্টোনের একজন সিনিয়র উপদেষ্টা। তিনি REIT (রিয়েল এস্টেট ইনভেস্টমেন্ট ট্রাস্ট)-এর প্রচার করেন। রিপোর্টে বুচের অফশোর বিনিয়োগ, উপদেষ্টা সংস্থা আগোরা এবং ব্ল্যাকস্টোনের মধ্যে সম্পর্কের কথা রয়েছে'।