করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনাকে ঘিরে কার্যত বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে দক্ষিণ পূর্ব রেলের বিস্তীর্ণ অংশের ট্রেন চলাচল। শুক্রবারের দুর্ঘটনার পর শনিবারই বাতিল হয়েছে প্রচুর ট্রেন। এবার রবিবারও একই চিত্র। দক্ষিণ পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে, এদিন মোট ১৬টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। যাত্রাপথ ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে ৩টি ট্রেনের। আর ১টি ট্রেনের সময়সূচিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। একনজরে দেখে নিন রবিবার দক্ষিণ পূর্ব রেলে বাতিল কোন ট্রেনগুলি। আর কোনগুলিই বা ঘুরপথে চলছে।
লাগাতর চলছে উদ্ধার কার্য
এদিকে একটানা ৩৬ ঘণ্টা ঘরে চলছে উদ্ধার কার্য। এখনও পর্যন্ত মোট ২৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। আহতের সংখ্যা ১,০৯১। পাশাপাশি দ্রুত যাতে রেল পরিষেবা স্বাভাবিক করা যায়, সেই চেষ্ঠাও চালাচ্ছেন কর্মীরা। ইতিমধ্যেই ভুবনেশ্বরে পৌঁছেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডভিয়া। এইমসে ভর্তি আহতদের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি।
অন্যদিকে ভয়াবহ এই দুর্ঘটনার প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই রেলমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি উঠতে শুরু করেছে। তৃণমূল-সহ বেশকিছু বিরোধী দলের নেতানেত্রীরা, ইতিমধ্যেই সেই দাবি তুলেছেন। তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ফেসবুকে লেখেন, 'যাঁরা তাঁদের প্রিয়জনদের হারিয়েছেন, আমি মানসিকভাবে তাঁদের সঙ্গে রয়েছি এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। যদি বিবেকের ডাক থাকে, তাহলে রেলমন্ত্রীর এখনই পদত্যাগ করা উচিত'।
এর জবাব দিয়েছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিণী বৈষ্ণবও। তিনি বলেন, 'এটা রাজনীতি করা সময় নয়। এখন উদ্ধারকার্যের সময়। সম্পূর্ণ গুরুত্ব এখন উদ্ধারকার্যে দেওয়া হয়েছে। সমস্ত শক্তি দিয়ে কাজ করা হচ্ছে। আমি কোথাও চলে যাচ্ছি না, এখনেই আছে। উদ্ধারকার্য খুব দ্রুততার সঙ্গে চলছে'।
রেলমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী পরিস্থিতি দেখেছেন এবং জরুরি নির্দেশ দিয়েছেন। দ্রুত কাজ করা নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তদন্তের পরেই পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে তদন্দের রিপোর্ট পেশ করা হবে। ট্রেনের সংঘর্ষ প্রতিরোধী কবচ প্রণালীর বিষয়ে বলতে গিয়ে রেলমন্ত্রী বলেন, 'এটা সংঘর্ষ প্রতিরোধী উপকরণের বিষয় নয়। তদন্তের রিপোর্ট আসতে দিন, সমস্ত কিছু স্পষ্ট হয়ে যাবে'।
আরও পড়ুন - সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী-রেলমন্ত্রীর সংঘাত! মমতার বক্তব্যে আপত্তি বৈষ্ণবের