করোনায় মৃত্যুমিছিল চলছেই। এই মারণ ভাইরাস গাজিয়াবাদের একই পরিবারের ৪ সদস্যের প্রাণ কাড়ল। গত ১২ দিনে ওই পরিবারের ২ পুরুষ ও ২ মহিলা মারা যান। এখন বাড়িতে রয়েছে ২ শিশু। তাদের নিয়ে চিন্তিত এলাকার বাসিন্দারা।
প্রশাসনের তরফে খবর, গত ১২ দিন ধরে করোনায় আক্রান্ত ছিলেন ওই বাড়ির ৪ সদস্য। তাঁরা মারা যান। তবে তাঁদের মৃত্যুতে বিপদে পড়েছে ২ সন্তান। তাদের বয়স ৬ ও ৮ বছর।
এদিকে উত্তরপ্রদেশের বরেলিতেও বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। একটি গ্রামে গত ১০ দিনে ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছে, মৃতরা করোনায় আক্রান্ত ছিলেন কি না তা জানা যায়নি। তবে একথা ঠিক প্রত্যেকের জ্বর ও শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ ছিল।
আরও পড়ুন : 'এত হিংসা দেখেও এড়িয়ে যাব?' শীতলকুচি যাওয়ার আগে প্রশ্ন রাজ্যপালের
স্থানীয়দের আরও অভিযোগ, তাঁদের গ্রামে দিনের পর দিন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। তারপরও চিকিৎসার তেমন সুব্যবস্থা নেই। স্থানীয় একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে। সেখানে বেড সংখ্যা খুবই কম। তাঁদের আরও অভিযোগ, প্রশাসনকে জানিয়েও কাজ হয়নি।
তবে প্রশাসনিক সূত্রে খবর, গ্রামের মানুষের স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতা কম। তাই তাঁরা অনেকেই করোনা পরীক্ষা করাতে চান না। সেকারণে, মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যায়নি। তবে গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশের গ্রামে এভাবে মৃত্যুর ঘটনা প্রথম নয়। আগেও একাধিক গ্রামে এই ধরনের ঘটনা সামনে এসেছে। সম্প্রতি তো উত্তরপ্রদেশে গঙ্গাবক্ষে ভেসে উঠেছে মৃতদেহও। প্রাথমিকভাবে স্থানীয়দের অনুমান, মৃতরা করোনায় আক্রান্ত ছিলেন। তাঁদের শেষকৃত্য করতে না পেরেই জলে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে।