দাম বাড়ছে ওষুধের। বেশ কিছু গুরুতর রোগের ওষুধের দাম বাড়ছে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত। ওষুধের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথিরিটি বা এনপিপিএ। যার জেরে কপালে চিন্তার ভাঁজ মধ্যবিত্তের। সমস্যায় পড়তে পারেন সাধারণ মানুষ।
কোন কোন রোগের ওষুধের দাম বাড়ছে?
জানা গিয়েছে, অ্যাজমা, টিবি, থ্যালাসেমিয়া, গ্লুকোমা এবং মানিসক রোগের বিভিন্ন ওষুধের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কেন দাম বাড়ছে?
এনপিপিএ-র তরফে জানানো হয়েছে যে, ওষুধগুলি তৈরি করতে যে কাঁচামাল লাগে, তার দাম বেড়েছে। ফলে উৎপাদন খরচ বেড়ে গিয়েছে। পাশাপাশি, কারেন্সি এক্সচেঞ্জ রেটও বৃদ্ধি পেয়েছে, সেই কারণেই ওষুধের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কোন কোন ওষুধের দাম বাড়বে?
বেনজাইন পেনিসিলিন ১০ লক্ষ আইইউ ইঞ্জেকশন, অ্যাট্রোপিন ইঞ্জেকশন (০৬.এমজি/এমএল), স্ট্রেপটোমাইসিন পাউডার ফর ইঞ্জেকশন ৭৫০ এমজি এবং ১০০০ এমজি, সালবুটামল ট্যাবলেট ২ এমজি ও ৪ এমজি, পাইলোকারপাইন ২ শতাংশ ড্রপ, ডেসফেরিওক্সামিন ৫০০ এমজি, লিথিয়াম ট্যাবলেট ৩০০ এমজি ওষুধের দামে প্রভাব পড়বে।
অন্য দিকে, অক্টোবরে এবার ভ্যাপসা গরমে অনেকেই অসুস্থ হচ্ছেন। আবহাওয়ার এই খামখেয়ালির কারণে জাঁকিয়ে বসছে জ্বর, সর্দি-কাশি। গলা ব্যথা, কফে জেরবার অনেকেই। এই প্রসঙ্গে bangla.aajtak.in-কে চিকিৎসক সুনন্দ দে বলেন, 'রাতে অনেকে এসি চালিয়ে ঘুমোচ্ছেন, আবার ভোরবেলায় তাপমাত্রার ফারাক হচ্ছে। আবহাওয়ার তারতম্য ঘটছে। যার ফলে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।' কীভাবে সুস্থ রাখবেন? এই অবস্থায় নিজেকে সুস্থ রাখবেন কীভাবে? চিকিৎসক সুনন্দ দে বলেন, 'যাঁরা অসুস্থ হচ্ছেন, তাঁদের মাস্ক পরা উচিত এবং আইসোলেশনে থাকা দরকার। অধিকাংশ ক্ষেত্রে মাইল্ড ভাইরাল ফিভার হচ্ছে। নাক, মুখ ঢেকে রাখা দরকার। সারাদিনে ২-৩ বার স্টিম নেওয়া খুব উপকার। ১০০-এর উপর তাপমাত্রা উঠলে প্যারাসিটামল খাওয়া যেতে পারে।' তিনি আরও জানিয়েছেন, 'জ্বরের সঙ্গে প্রচুর চেস্ট ইনফেকশন, কফ হলে অ্যান্টিবায়োটিক শুরু করা উচিত। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই অ্যান্টিবায়োটিক শুরু করুন। যাঁদের গলা ব্যথা, কফ জমে আছে বলে মনে হচ্ছে, তাঁরা স্টিম নিন। তবে বাড়াবাড়ি হলে ডাক্তার দেখান।'