গত লোকসভা ভোটের আগে আসন সমঝোতা নিয়ে গোল বেঁধেছিল বিরোধী জোটে। ২০২৪ সালের ভোটের অনেক আগে থেকেই আসন ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনা শুরু করে দিল বিরোধী দলগুলি। এখন বড় প্রশ্ন, বাংলায় কি ইন্ডিয়া জোটের তিন দল- সিপিএম, কংগ্রেস ও তৃণমূলের আসন সমঝোতা হতে পারে? মুম্বইয়ের বৈঠকে 'সিট শেয়ারিং'-এর পক্ষে সওয়াল করলেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি।
মুম্বইয়ে সাংবাদিক বৈঠকে সীতারাম ইয়েচুরি বলেন,'রাজ্যস্তরে আসন সমঝোতা হবে। তবে প্রতিটি রাজ্যে আলাদা আলাদা সমীকরণ। আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ। দেশকে এক রাখাই আমাদের উদ্দেশ্য। গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে চাই। জাতি-লিঙ্গ-বর্ণ ভেদে দেশকে এক রাখতে চাই।' তিনি আরও বলেন,'বেঙ্গালুরুতে বৈঠকের সময় এনডিএ শরিকদের ডেকেছিলেন। মুম্বইয়ের বৈঠকের আগে গ্যাসের দাম ২০০ টাকা কমেছে। বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়েছে। সব বিরোধী ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলি একজোট হওয়ায় ভয় পেয়ে গিয়েছে বিজেপি। সারা দেশজুড়ে আমরা সভা করব। আমরা মানুষের কাছে পৌঁছব। তা আরও শক্তিশালী করবে জোটকে। আমরা সব দল একসঙ্গে লড়ব।'
বাংলায় আসন সমঝোতা নিয়ে কোনও কথা শোনা গেল না ইয়েচুরির মুখে। যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিকবার সওয়াল করেছেন, বাংলায় তাঁরাই শক্তিশালী। তাই তৃণমূলকেই সমর্থন করা উচিত ইন্ডিয়া জোটের। কিন্তু রাজ্য সিপিএম ও প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব তাতে সহমত হয়নি। তারা দাবি করে এসেছেন, কেন্দ্রের রাজনীতিতে বাধ্যবাধকতা রয়েছে। রাজ্যে তৃণমূল ও বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই চলবে।
এ দিনও ধূপগুড়িতে সেলিম ও অধীর একসঙ্গে প্রচার করেন। তাঁরা নিশানা করেন তৃণমূলকে। যা নিয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, 'ওদিকে সীতারাম ইয়েচুরি ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে অংশ নেন। আর এদিকে মহম্মদ সেলিমরা এসব বলছেন। গত বিধানসভা ভোটেও বিজেপিকে সুবিধা পাইয়ে দিয়েছিলেন। মহম্মদ সেলিম হলেন সিপিএমের রাহুল সিনহা। ভোটে হারেন। বাংলায় তৃণমূলকে দুর্বল করা মানেই বিজেপিকে খুশি করা।'