শেওপুর জেলার রঘুনাথপুর থানা এলাকার পিপরানি গ্রামে ঘটল এক বিস্ময়কর ঘটনা। রবিবার বিকেলে পিপরানি গ্রামের ১৭ বছর বয়সী কিশোর নিহাল সিং রাও প্রতিদিনের মতো তার মোষ চরাতে চম্বল নদীর তীরে গিয়েছিল। তৃষ্ণা পেলে সে জল পান করতে চম্বল নদীর তীরে গেলেন। কিশোর যখন চম্বলের তীরে জল খাচ্ছিল, সেখানে ওঁত পেতে ছিল একটি বিশাল কুমির। আচমকাই সেই কুমির তাঁকে জলে টেনে নিয়ে যায়।
এই আচমকা আক্রমণে আতঙ্কিত না হয়ে কিশোর নিহাল সিং কুমিরের হাত থেকে বাঁচার জন্য লড়াই শুরু করে। প্রায় আধঘণ্টা ধরে তিনি কুমিরের সঙ্গে প্রাণের লড়াই চালিয়ে যান। এদিকে পাশের রাখালরা তাকে লক্ষ্য করে এবং সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাঠিসোঁটা নিয়ে কুমিরের ওপর হামলা শুরু করে। এই সাহসিকতা এবং সহযোগিতার ফলে কুমিরের চোয়াল থেকে কিশোর নিহালকে মুক্ত করা সম্ভব হয়।
এই লড়াইয়ে কুমিরটি বিপজ্জনক চোয়াল দিয়ে কিশোরটির উরুর দুই জায়গায় এবং হাতে গুরুতর কামড় দেয়। এ লড়াইয়ে কিশোরের একটি হাতও ভেঙে যায়। ঘটনা পরবর্তী তাকে দ্রুত চিকিৎসার জন্য জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে নিহালের অবস্থা আশঙ্কামুক্ত বলে জানা গেছে।
জাতীয় চম্বল অভয়ারণ্যের ডেপুটি রেঞ্জার, ফুলসিং কোডিয়া জানান, ঘটনাটি সম্পর্কে তারা অবগত। গ্রামবাসীদের বলা হয়েছে আহত কিশোরকে চিকিৎসা করাতে এবং এই ক্ষেত্রে আহতদের সাহায্য করা হবে। কিশোর নিহালের সাহসিকতা এবং পাশের রাখালদের তৎপরতা সত্যিই প্রশংসনীয়। এই ঘটনা শেওপুর জেলার মানুষের মধ্যে একটি নতুন উত্সাহ এবং সাহসিকতার প্রেরণা জাগিয়েছে।
সাহসী কিশোর নিহাল সিংয়ের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছেন তার পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং গ্রামের বাসিন্দারা। নিহালের এই সাহসিকতা দেখিয়ে দিয়েছে যে সঠিক মনোবল ও ধৈর্য থাকলে যে কোনও বিপদকে মোকাবিলা করা সম্ভব। গ্রামের বাসিন্দারা এই ঘটনাকে কুর্নিশ করছেন এবং এই ধরনের পরিস্থিতিতে কীভাবে সাহসিকতার সঙ্গে মোকাবিলা করা যায় তা শিখছেন।