Cyclone Biporjoy: দেশ এখন বর্ষার অপেক্ষায়, হাওয়া অফিস বলছে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই কেরলে প্রবেশ করবে বর্ষা। অন্যদিকে আরব সাগরে গভীর নিম্নচাপ এখন ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। এই ঘূর্ণিঝড়ের বিপদ গুজরাতের উপর দিয়ে বয়ে চলেছে, এর নাম দেওয়া হয়েছে বিপর্যয়। আজ, ৭ জুন, সকাল ৫:৩০ মিনিটে, পূর্ব-মধ্য এবং সংলগ্ন দক্ষিণ-পূর্ব আরব সাগরে একটি তীব্র ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়েছে। এটি 12.6N এবং 66.1E অবস্থানে কেন্দ্রীভূত এবং গোয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমে থেকে প্রায় ৮৯০ কিলোমিটার দূরে স্থিত।
সাইক্লোন বিপর্যয় কখন এবং কোথায় আছড়ে পড়বে
মৌসম বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় অর্থাৎ ৮ জুন সকাল পর্যন্ত এটি উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে তীব্রতর হতে পারে। আরব সাগরে সৃষ্ট এই ঘূর্ণিঝড় উত্তর দিকে অগ্রসর হলে তার ধ্বংসলীলা আরও বাড়বে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ে বাতাসের গতিবেগ হবে ঘণ্টায় ১৫০ থেকে ১৯০ কিলোমিটার, সাগরে ৮ থেকে ১০ জুন পর্যন্ত খুব উঁচু ঢেউ আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর সর্বোচ্চ প্রভাব দেখা যাবে গুজরাতের উপকূলবর্তী শহরগুলিতে। এর সঙ্গে আইএমডি বলছে যে ঘূর্ণিঝড়টি কর্ণাটক, গোয়া, মহারাষ্ট্র এবং গুজরাতের উপকূলীয় অঞ্চল থেকে সরে যাচ্ছে, তবে উপকূলীয় অঞ্চলে কিছু শক্তিশালী বাতাস এবং কিছু অংশে ভারী বৃষ্টিপাত হবে এবং এই ঘূর্ণিঝড়ের পাকিস্তানে স্থলভাগে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা আছে।
গুজরাতসহ একাধিক রাজ্য়ে সতর্কতা
ঘূর্ণিঝড়ের কারণে জেলেদের সমুদ্র উপকূলে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে মৌসম বিভাগ। সেই সঙ্গে গুজরাতের সমস্ত বন্দরে ১ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেওয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় যত ঘনিয়ে আসবে এবং বিপদ বাড়বে, সে অনুযায়ী সতর্কতা সংকেত বাড়ানো হবে। একইসঙ্গে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় গুজরাত সরকারও প্রস্তুতি শুরু করেছে। উপকূলীয় শহরগুলোতে প্রশাসনকে সতর্ক করা হয়েছে। সেই সঙ্গে সাগরে উঁচু ঢেউ উঠার সম্ভাবনাও রয়েছে। উল্লেখ্য যে আরব সাগরে বছরের প্রথম প্রাক-বর্ষার ঘূর্ণিঝড়ের নাম হবে 'বিপর্যয়', যার পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ।