হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস মতো মূলত ওড়িশা উপকূলেই তাণ্ডব চালাল ঘূর্ণিঝড় দানা। IMD-র সর্বশেষ আপডেট বলছে, ওড়িশার ভিতরকণিকা ও ধামারার মাঝে মধ্যরাতে ল্যান্ডফল হয়েছে দানা-র। ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া শেষ। বাংলার উপকূলীয় জেলাগুলিতে ঝোড়ো হাওয়া ও সঙ্গে বৃষ্টি চলছে। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতেও ভারী বৃষ্টি চলছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বাংলায় কম। ওড়িশায় উপকূলীয় জেলাগুলিতে বেশি তাণ্ডব চালাচ্ছে।
আগামী ৬ ঘণ্টায় এটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে যাচ্ছে
হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, ধীরে ধীরে শক্তি হারাচ্ছে ঘূর্ণিঝড়টি। ল্যান্ডফলের পরে হাওয়ার বেগ ৯০ থেকে ১০০ কিমি প্রতি ঘণ্টা হয়েছে। সর্বোচ্চ গতি হয়েছিল ১১০ কিমি। আগে যা বলা হয়েছিল, ১২০ কিমি প্রতি ঘণ্টা। আজকেই শক্তি হারিয়ে সাধারণ ঘুর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে যাবে দানা। এই মুহূর্তে গতিবেগ আরও কমে ৮০ থেকে ৯০ কিমি প্রতিঘণ্টা হয়েছে। আগামী ৬ ঘণ্টায় এটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে যাচ্ছে।
অত্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দক্ষিণবঙ্গে
পশ্চিমবঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের উপকূলে অতিভারী বৃষ্টি চলছে গভীর নিম্নচাপের জেরে। হাওয়া অফিসের লেটেস্ট আপডেট বলছে, হলদিয়া, দিঘা, ডায়মন্ড হারবারে অত্যন্ত ভারী অর্থাত্ ২০ সেমি-র বেশি বৃষ্টিপাত। এছাড়া ওড়িশার ভুবনেশ্বর, বালেশ্বর, চাঁদবালি ও পারাদ্বীপেও ব্যাপক বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়া চলছে।
রাত দেড়টায় আছড়ে পড়ে দানা
ওড়িশার ভিতরকণিকা এবং ধামারার মধ্যবর্তী হাবালিখাটি নেচার ক্যাম্পের কাছে স্থলভাগে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় দানা। হাওয়া অফিস জানায়, রাত দেড়টার পর থেকে ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রীয় অংশ স্থলভাগ অতিক্রম করেছে। বর্তমানে ঘূর্ণিঝড়ের অবস্থান হাবালিখাটি থেকে ৫০ কিলোমিটার উত্তর উত্তর-পশ্চিমে। পারাদ্বীপ থেকে ঘূর্ণিঝড়ের পরিস্থিতির দিকে অনবরত নজর রাখা হচ্ছে। এর পর আরও শক্তি হারিয়ে ঘূর্ণিঝড় নিম্নচাপে পরিণত হবে।