বঙ্গোপসাগরের উপর অতি গভীর নিম্নচাপ হিসাবে রয়েছে জাওয়াদ। তবে এখন এটি ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিয়েছে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বিশাখাপত্তনম থেকে প্রায় ৭৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে বঙ্গোপসাগরের উপর কেন্দ্রীভূত নিম্নচাপটি উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামীকাল সকালেই উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ-দক্ষিণ ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শক্তিশালী এই ঘূর্ণিঝড়ের জেরে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলি বিশেষ করে উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে আগামী ৪ ও ৫ তারিখ ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হবে বলে আভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস।
ইতিমধ্যে বেশ কিছু জেলায় কমলা সর্তকতা জারি করা হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, কলকাতা, ঝাড়গ্রামে জারি করা হয়েছে অরেঞ্জ অ্যালার্ট। উপকূলবর্তী এলাকাগুলির বাসিন্দাদের সতর্ক করা হয়েছে। মাসদুয়েক আগেই অতিবৃষ্টির জেরে বাংলার একের পর এক গ্রাম প্লাবিত হয়েছিল। সেই আতঙ্কের রেশ কাটতে না কাটতেই ফের একবার অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা। তাই আগে থেকেই সতর্ক রয়েছে প্রশাসন। ইতিমধ্যে বাড়তি সতর্কতা হিসাবে আগেভাগেই বিভিন্ন জেলায় তৈরি রাখা হয়েছে এনডিআরএফ টিমকে। এর মধ্যে কলকাতায় রয়েছে ২টি, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় রয়েছে ১টি, উত্তর ২৪ পরগনায় রয়েছে ১টি, পূর্ব মেদিনীপুরে ১টি, পশ্চিম মেদিনীপুরে ১টি, হুগলিতে ১টি এবং নদিয়াতে ১টি।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, ৫ তারিখ উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। ফলে আগে থেকেই সতর্ক করা হয়েছে সেই জেলাগুলিকে। ইতিমধ্যে দীঘা, সুন্দরবনের মতো এলাকাগুলিতে বাড়়তি নজর দেওয়া হয়েছে। সেখানকার বাসিন্দাদের সতর্ক করা হয়েছে। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। তেমনই সতর্ক করা হয়েছে চাষীদের। ফসলের ক্ষতি হতে পারে বলেও সাবধান করা হয়েছে। রাজ্য প্রশাসনের তরফ থেকেও বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হয়েছে।