বালেশ্বরের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সেখানে মন্ত্রিসভার এক সদস্য পাঠালেন ওডিশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পটনায়েক। সেখানে দিব্যশঙ্কর মিশ্রকে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। যাতে সরেজমিনে পরস্থিতি খতিয়ে দেখতে পারেন।
আবাহওয়া দফতরের মতে, ঘূর্ণিঝড় 'ইয়াস' আছড়ে পড়তে পারে বালেশ্বরে। প্রশাসন সূত্রে খবর, তাই মুখ্য়মন্ত্রী সেখানে মন্ত্রিসভার সদস্যকে পাঠাচ্ছেন। তিনি সেখানেই থাকবেন। পরিস্থিতির ওপর নিয়মিত নজরদারি করবেন। দিব্যশঙ্কর মিশ্র ওডিশার স্বরাষ্ট্র দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী।
এদিকে, প্রবল ঘূর্ণিঝড় 'ইয়াস' দিঘা থেকে প্রায় ৪৫০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে। এখন অবস্থান ১৭ ডিগ্রি ৮ মিনিট উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮ ডিগ্রি ৯ মিনিট পূর্ব দ্রাঘিমাংশে। ঘূর্ণিঝড় 'ইয়াস' স্থল ভাগে আছড়ে পড়তে পারে বুধবার। তবে ওডিশার তুলনায় বাংলায় ঘূর্ণিঝড়ের দাপট কম থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এমনই পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
তার শক্তি আরও বাড়তে পারে। সেটি অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি আটকাতে উপকূলবর্তী এলাকা থেকে মানুষ থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। মানুষকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। তৈরি রয়েছে পুলিশ-প্রশাসন।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে ২২ মে তৈরি হয়েছিল একটি নিম্নচাপ। যেটি ঘূর্ণিঝড় পরিণত হয়েছে। ২৬ তারিখ অর্থাৎ সকালে বাংলা এবং ওডিশা পৌঁছে যাবে। সন্ধে বেলা আছড়ে পড়বে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ওডিশার পারাদ্বীপ এবং পশ্চিমবঙ্গের সাগরের মধ্যে দিতে অতিক্রম করতে পারে।
ঝোড়ো হাওয়া
২৫ মে সকালের দিকে ১০০-১১০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। সর্বোচ্চ গতিবেগ ১২০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় পৌঁছতে পারে। পরে তা ১৩৫ থেকে ১৪৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা হতে পারে। সর্বোচ্চ হতে পারে ১৬০।
তার পরের দিন, অর্থাৎ ২৬ মে ঘণ্টায় ১৫-১৬৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় ঝড় বইতে পারে। সর্বোচ্চ ১৮৫ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পরে ১২৫ থেকে ১৩৫ কিলোমিটার গতিবেগে ঝড় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সর্বোচ্চ হতে পারে ১৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা।
বৃষ্টি
২৫ মে দুই মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা, হাওড়া, হুগলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
২৬ মে পুর্ব এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে, কলকাতায়, ঝাড়গ্রাম, দুই ২৪ পরগণা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান, মালদা, পুরুলিয়া, মুর্শিদাবাদ, কালিম্পং এবং দার্জিলিঙ ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
২৭ মে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীবরভূম, পশ্চিম মেদিনীপুর, মালদা, কালিম্পং এবং দার্জিলিঙে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
ইতিমধ্যে ভারতীয় বায়ুসেনার বিমান পাটনা এবং বারাণসী থেকে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ৩৩৪ জন জওয়ানকে কলকাতায় এবং আরাক্কোনাম থেকে পোর্ট ব্লেয়ারে পৌঁছে দিয়েছে।