চাঁদের দক্ষিণ মেরুর যে জায়গায় চন্দ্রযান ৩ নেমেছে, সেই জায়গার নাম 'শিবশক্তি' রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবার গোটা চাঁদকেই হিন্দু রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণার দাবি করলেন এক সাধু। তাঁর প্রস্তাব, এ জন্য সংসদে বিল আনুন ভারত সরকার। আইন করে ভারত চাঁদকে হিন্দুরাষ্ট্র ঘোষণা করে মালিকানা দাবি করুক। তাঁর কথায়, চাঁদ এখন ভারতের।
চাঁদ হিন্দুরাষ্ট্র হয়ে গেলে তার রাজধানী কোথায় হবে, তাও বাতলেছেন ওই সাধু (swami chakrapani)। তাঁর প্রস্তাব, যে জায়গাটিকে শিবশক্তি পয়েন্ট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, সেই জায়গাটিকেই চাঁদের রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করা হোক।
আজব দাবি করা ওই সাধুর নাম স্বামী চক্রপাণি মহারাজ। তিনি নিজেকে অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভার সভাপতি বলে দাবি করেছেন। চক্রপাণির মতে, অন্য কোনও ধর্মের মানুষজন দাবি করে বসার আগেই চাঁদকে হিন্দুরাষ্ট্র ঘোষণা জরুরি।
জানা গেছে, দিল্লির এই সাধু বিতর্কিত মন্তব্য এবং কাজকর্মের জন্য আগে থেকেই পরিচিত। করোনার সময় তিনি রাজধানীতে ‘গোমুত্র অভিযান’-এর আয়োজন করেছিলেন। তাঁর দাবি ছিল, গো-মুত্র পান করলে করোনা থেকে মুক্তি মিলবে। ভারত সরকারকে চিঠি লিখে প্রস্তাব দেন, করোনা ঠেকাতে গো-মূত্র গোটা বিশ্বে রপ্তানি করা হোক। তাতে বিপুল আয়ও হবে। এবার তিনি একটি ভিডিও বার্তায় বলেছেন, "আমি চাই ভারত সংসদে একটি প্রস্তাবের মাধ্যমে চাঁদকে হিন্দু রাষ্ট্র হিসাবে ঘোষণা করুক।"
ভিডিওতে, তিনি চন্দ্রযান-৩-এর অবতরণ এলাকা "শিব শক্তি পয়েন্ট" নামকরণের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদ জানান এবং বলেন য চাঁদে একটি হিন্দু জাতি প্রতিষ্ঠার পরে এটিকে রাজধানী হিসাবে গড়ে তোলা উচিত। টুইটের ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, "চাঁদকে সংসদ থেকে হিন্দু সনাতন রাষ্ট্র হিসাবে ঘোষণা করা উচিত, চন্দ্রযান 3-এর অবতরণের স্থানে শিব শক্তি পয়েন্টকে রাজধানী হিসাবে গড়ে তুলতে হবে, যাতে কোনও সন্ত্রাসী জিহাদি মানসিকতা নিয়ে সেখানে পৌঁছাতে না পারে।"
২০১৮ সালে সর্বভারতীয় হিন্দু মহাসভার নেতা এই সাধু বলেছিলেন যে, কেরালার বন্যা দুর্গতরা যারা গরুর মাংস খেয়েছে তাদের সাহায্য পাওয়া উচিত নয়।