ইডির পর এবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করতে চলেছে সিবিআই। তিহাড় জেলে তাঁকে জেরা করা হয়েছে। আবগারি দুর্নীতিকাণ্ডে ইডির মামলায় সুপ্রিম কোর্টে শুনানির আগেই কেজরিকে সিবিআই গ্রেফতার করতে চলেছে বলে খবর। বুধবার আদালতে হাজির করানো হবে কেজরিওয়ালকে। সূত্রের খবর, বুধবার কেজরিওয়ালকে আনুষ্ঠানিক ভাবে গ্রেফতার করবে সিবিআই।
আম আদমি পার্টির রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিং অভিযোগ করেছেন যে, কেজরিওয়ালকে ফাঁসানো হচ্ছে। কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে সিবিআই মিথ্যা মামলা করেছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।
অন্য দিকে, আবগারি দুর্নীতি মামলায় সম্প্রতি কেজরিওয়ালের জামিন মঞ্জুর করেছিল নিম্ন আদালত। নিম্ন আদালতের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আপাতত তিহাড় জেলেই থাকতে হবে কেজরিওয়ালকে।
গত ২১ মার্চ লোকসভা নির্বাচনের আগে কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করে ইডি। ভোটের আবহে গত মে মাসে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়েছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। গত ২ জুন ফের জেলে ফিরতে হয় কেজরিওয়ালকে।
গ্রেফতারির পর কেজরিওয়াল বলেছিলেন, 'প্রয়োজনে জেল থেকে সরকার চালাব।' এই মুহূর্তে তিহাড় জেলে বন্দি কেজরিওয়াল। প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করেছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী।তিনি বলেছিলেন, 'উনি যা করছেন, তা দেশের জন্য ভাল নয়।' ইডির হেফাজত প্রসঙ্গে কেজরিওয়াল বলেছিলেন, 'যতদিন চায় ইডি আমায় হেফাজতে রাখতে পারে। কিন্তু এটা দুর্নীতি। ইডির দু'টো উদ্দেশ্য রয়েছে। একটা হল আম আদমি পার্টিকে শেষ করা এবং আর একটি হল তোলাবাজির চক্র চালিয়ে টাকা তোলা।' কেজরিওয়ালের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে তাঁর স্ত্রী সুনীতা বলেছিলেন, 'অরবিন্দ কেজরিওয়াল একজন সিংহ... তাঁকে বেশি দিন আটকে রাখা যাবে না'। অন্য দিকে, লোকসভা নির্বাচনের আগে কেজরিওয়ালের গ্রেফতারি জাতীয় রাজনীতিতে শোরগোল ফেলে দিয়েছিল। কেজরিওয়ালের গ্রেফতারির প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্স হ্যান্ডলে মমতা লিখেছিলেন, 'অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতারির তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। সুনীতার (কেজরিওয়ালের স্ত্রী) সঙ্গে ব্যক্তিগত ভাবে কথা বলেছি। পাশে থাকার বার্তা দিয়েছি।' মুখ্যমন্ত্রী আরও লিখেছিলেন যে, বিরোধী দলের মুখ্যমন্ত্রীদের নিশানা করা হচ্ছে। অথচ, সিবিআই-ইডির তদন্তে যাঁরা অভিযুক্ত, তাঁরা বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর নিজেদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এটা গণতন্ত্রের উপর নির্মম আঘাত।