Advertisement

Arvind Kejriwal Arrest: দেশের ইতিহাসে প্রথম! কোনও মুখ্যমন্ত্রী জেলে বসে সরকার চালাতে পারেন? যা জানা জরুরি

যেহেতু প্রথম কোনও মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করা হল, সে ক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠছে, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কেজরিওয়ালকে কি জেল থেকে সরকার চালাতে পারবেন? দেখা যাচ্ছে, এরকম কোনও আইন নেই যে মুখ্যমন্ত্রীকে জেল থেকে কাজ করা কেউ রুখতে পারে। তবুও জেল থেকে সরকার চালানো কেজরিওয়ালের পক্ষে খানিক মুশকিলই হবে। কারণ, কোনও ব্যক্তি জেলে গেলে, তাঁকে হাজতের নিয়ম মানতেই হবে। সে ক্ষেত্রে বাকি কয়েদিদের মতোই প্রাথমিক মৌলিক অধিকারগুলি থাকবে। 

Arvind Kejriwal, PTI File Image
Aajtak Bangla
  • নয়াদিল্লি,
  • 22 Mar 2024,
  • अपडेटेड 9:42 AM IST
  • কিন্তু কোনও মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করা হলে জেল থেকে সরকার চালাতে পারেন?
  • তাহলে কি মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিতে হবে?
  • মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরানো যাবে কেজরিওয়ালকে?

আফগারি দুর্নীতি মামলায় ( দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal Arrest) গ্রেফতারির প্রশ্ন উঠছে, তিনি কি জেল থেকেই সরকার চালাবেন? ভারতের ইতিহাসে কেজরিওয়ালই প্রথম ব্যক্তি, যাঁকে মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকাকালীন গ্রেফতার করা হল। এর আগে কোনও সিটি মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতারের নজির নেই দেশের ইতিহাসে। ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে গ্রেফতার করা হলেও, তিনি গ্রেফতারির আগেই মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়েছিলেন। 

কিন্তু কোনও মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করা হলে জেল থেকে সরকার চালাতে পারেন?

যেহেতু প্রথম কোনও মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করা হল, সে ক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠছে, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কেজরিওয়ালকে কি জেল থেকে সরকার চালাতে পারবেন? দেখা যাচ্ছে, এরকম কোনও আইন নেই যে মুখ্যমন্ত্রীকে জেল থেকে কাজ করা কেউ রুখতে পারে। তবুও জেল থেকে সরকার চালানো কেজরিওয়ালের পক্ষে খানিক মুশকিলই হবে। কারণ, কোনও ব্যক্তি জেলে গেলে, তাঁকে হাজতের নিয়ম মানতেই হবে। সে ক্ষেত্রে বাকি কয়েদিদের মতোই প্রাথমিক মৌলিক অধিকারগুলি থাকবে। 

যেমন, জেলে থাকা কোনও বিচারাধীন বন্দি সপ্তাহে দু বার আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে দেখা করতে পারেন। প্রতিটি সাক্ষাতের সময় আধ ঘণ্টা। এছাড়া, জেলে বন্দি কোনও নেতা নির্বাচনে লড়তে পারেন, বিধানসভা বা সংসদের কাজেও যোগ দিতে পারেন, কিন্তু কোনও বৈঠক করতে পারেন না। যেমন গত জানুয়ারিতে যখন হেমন্ত সোরেনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, তখন পিএমএলএ কোর্ট তাঁকে বিধানসভায় আস্থা ভোটে অংশ নেওয়ার জন্য অনুমতি দিয়েছিল।

জেলে বন্দি যে কোনও কয়েদির গতিবিধি নিয়ন্ত্রিত হয় আদালতের নির্দেশের উপরে ভিত্তি করে। তিনি কোনও আইনি কাগজে সই করতে পারলেও, কোনও সরকারি নথিতে সই করতে গেলে আদালতের অনুমতি নিতে হবে।

তাহলে কি মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিতে হবে?

Advertisement

অরবিন্দ কেজরিওয়াল এখনও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য নন। যদি তিনি নিজে চান ইস্তফা দিতে, সেক্ষেত্রে আলাদা বিষয়। ১৯৫১ সালের জনপ্রতিনিধি আইন বলছে, যদি কেজরিওয়াল অপরাধী প্রমাণিত হন, তাহলে তাঁকে ইস্তফা দিতেই হবে। 

গ্রেফতারির পর অরবিন্দ কেজরিওয়াল

আবার কেজরিওয়াল যদি ইস্তফা না দেন, তাহলে সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি হতে পারে। কারণ, জেলে থেকে তিনি সরকারি কাজকর্ম চালাতে নানা বাধার সম্মুখীন হবেন। কেজরিওয়াল মুখ্যমন্ত্রী ইস্তফা দিলেও বিধায়ক থাকবেন। যদিও আম আদমি পার্টি নেতৃত্ব বলছেন, কেজরিওয়াল ইস্তফা দেবেন না।

মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরানো যাবে কেজরিওয়ালকে?

এই মুহূর্তে এমনটি হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। মুখ্যমন্ত্রীকে পদ থেকে সরাতে হলে সংসদে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে হবে। কিন্তু অনাস্থা প্রস্তাবও আনা হয় এমন পরিস্থিতিতে যখন মনে হয় সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে। কিন্তু, দিল্লি বিধানসভায় আম আদমি পার্টির ৭০টি আসনের মধ্যে ৬২টি। তবুও, ধরে নিই যে কেজরিওয়াল সরকারের বিরুদ্ধে সংসদে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়, তার পতন প্রায় নিশ্চিত। এমন পরিস্থিতিতে কেজরিওয়াল নিজে না চাইলে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরানো যাবে না।  

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement