দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা AAP সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়ালের মাথায় নাচছে গ্রেফতারির খাঁড়া। আজ অর্থাত্ বৃহস্পতিবারই কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করতে পারে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। আজ সকাল থেকেই দিল্লিতে আপ-এর হেডঅফিসে জড়ো হতে শুরু করেছেন দলের নেতা-কর্মীরা।
মদ বিক্রির রাজস্ব দুর্নীতি বা আফগারি দুর্নীতি মামলায় এর আগে তিনবার কেজরিওয়ালকে সমন পাঠিয়েছে ইডি। প্রতিবারই সমন এড়িয়ে গিয়েছেন কেজরিওয়াল। যদিও তিনবারই ইডি-কে লিখিত আকারে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, তিনি তদন্তে সহযোগিতা করবেন।
কেজরিওয়ালের গ্রেফতারির সম্ভাবনা
আপ-এর শীর্ষস্থানীয় একাধিক নেতার দাবি, আজ কেজরিওয়ালের বাসভবনে হানা দিতে পারে ইডি। তারপরেই গ্রেফতার করতে পারে। বুধবার রাতে এক্স হ্যান্ডলে আপ নেত্রী তথা কেজরীওয়াল মন্ত্রিসভার সদস্য আতিশী মারলেনা দাবি করেন, বৃহস্পতিবার সকালে কেজরিওয়ালের বাড়িতে তল্লাশি চালানোর পর তাঁকে গ্রেফতার করবে ইডি। তার কয়েক মিনিটের মধ্যেই প্রায় একই বয়ানে টুইট করেন আপ নেতা সৌরভ ভরদ্বাজ, জাসমিন শাহ এবং সন্দীপ পাঠক। আপ নেতাদের মধ্যে জাসমিন ইডি সূত্রকে উদ্ধৃত করে, কেজরিওয়াল গ্রেফতার হতে পারেন বলে দাবি করেন।
ইডি-র নোটিশকে বেআইনি বলে দাবি
আতিশী আজতক-এর সঙ্গে কথা বলেছেন। তাঁর দাবি, তাঁর কাছে বিশ্বস্ত সূত্রে খবর আছে, আজ কেজরিওয়ালের বাড়িতে তল্লাশি চালাবে ইডি। তারপরেই গ্রেফতার করবে। কেজরিওয়ালকে গ্রেফতারির ছক কষা হয়েছে স্রেফ লোকসভা ভোট মাথায় রেখে। আম আদমি পার্টির তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, কেজরিওয়ালকে দেওয়া ইডির এই সমন বেআইনি। শুধুমাত্র তাঁকে গ্রেপ্তার করার জন্যই এসব করা হচ্ছে। আর সেই কারণেই তিনি হাজিরা দেবেন না। এর আগে গত ২ নভেম্বর এবং ২১ ডিসেম্বরও ইডির তলবে সাড়া দেননি কেজরিওয়াল। এর পর গত ২২ ডিসেম্বর ফের তাঁকে নোটিশ পাঠানো হয়। সেই মতোই আজ হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল আম আদমি পার্টির সুপ্রিমোর। কিন্তু এবারও তিনি যাননি।
আগেই গ্রেফতার সিসোদিয়া ও সঞ্জয় সিং
আফগারি দুর্নীতি মামলায় দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া এবং আপ সাংসদ সঞ্জয় সিংহকে আগেই গ্রেপ্তার করেছে ইডি। আরেক মন্ত্রী রাজকুমার আনন্দের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়।