আগামী বুধবার ২১ জুলাই (21 July)। আর ওই দিন দিল্লিতে কয়েকজন বিরোধী দলের নেতাকে আমন্ত্রণ জানান হবে। সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই জানালেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন (Derek O'Brien)। করোনা পরিস্থিতির জেরে গতবারের মতো এবারেও ২১ জুলাইের সভা ভার্চুয়াল হবে বলে জানিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, সেই দিনই তৃণমূলের সঙ্গে হাত মেলাতে পারেন শত্রুঘ্ন সিনহা, ভাইকোর মতো কিছু নেতাও। সেক্ষেত্রে ২১শে জুলাই কোন কোন বিরোধী নেতাকে আমন্ত্রণ জানায় তৃণমূল (TMC) তাই নিয়ে ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে জল্পনা।
প্রসঙ্গত আগামী ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে মমত বন্দ্যোপাধ্যায়কেই দেশের মধ্যে মোদী বিরোধী প্রধান মুখ হিসেবে তুলে ধরতে ইতিমধ্যেই তৎপর হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। সোশ্যাল সাইটে হ্যাশট্যাগ 'বাঙালি প্রধানমন্ত্রী' প্রচারও শুরু হয়েছে। এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে সারা ভারতের প্রায় সমস্ত বিজেপি বিরোধী দলের নেতৃত্বকে ব্রিগেডের মঞ্চে নিয়ে এসেছিলেন মমতা। উদ্দেশ্য ছিল বিজেপি বিরোধী সমস্ত শক্তি মিলে একসঙ্গে লড়াই করা। কিন্তু তাতে বিশেষ কাজ হয়নি। নির্বাচনের ফলাফলে দেখা যায় ফের ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ (NDA)। এবারে বিধানসভা নির্বাচনের আগেও মমতাকে সমর্থন দেন অখিলেশ যাদব, তেজস্বী যাদবের মতো ভিনরাজ্যের নেতারা।
এছাড়া গত বিধানসভা নির্বাচনের কিছুদিন আগেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন প্রাক্তন বিজেপি (BJP) নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যশোবন্ত সিনহা। সেক্ষেত্রে যশোবন্ত সিনহাকে দলে নেওয়ার মধ্যে দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই জাতীয় রাজনীতিতে আরও বেশি করে তৃণমূলের পায়ের তলার মাটি শক্ত করার চেষ্টা শুরু করে দিয়েছেন বলে মত রাজনৈতিকমহলের। আর তারপর যদি ২১ জুলাইকে কেন্দ্র করে জাতীয় স্তরে মোদী তথা বিজেপি বিরোধীদের সঙ্গে বাস্তবেই কোনও সমঝোতার বীজ বপন হয় তবে আগামিদিনে তা দিল্লির রাজনীতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) তথা তৃণমূলের ভূমিকাকে আরও গুরুত্বপূর্ণ করে তুলতে পারে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।