Advertisement

Dhar Bhojshala: সরস্বতী মন্দির নাকি মসজিদ? হাইকোর্টের নির্দেশে শুক্রবার থেকে শুরু ভোজশালার সমীক্ষা

হিন্দু সংগঠনগুলির দাবি, ধারের কামাল মাওলানা মসজিদ আসলে মা সরস্বতী মন্দির ভোজশালা। যেটি রাজা ভোজ ১০৩৪ সালে সংস্কৃতের অধ্যয়নের জন্য তৈরি করেছিলেন। মুঘল হানাদারদের দ্বারা সেটি ভেঙে ফেলেছিল।

ভোজশালা
Aajtak Bangla
  • কলকাতা ,
  • 21 Mar 2024,
  • अपडेटेड 3:09 PM IST

মসজিদ না পুরনো মন্দির? মধ্যপ্রদেশের ধারে ভোজশালায় প্রত্নতাত্ত্বিক সমীক্ষার নির্দেশ দিয়েছিল মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট। সেই মতো ইন্দোর বেঞ্চের এই নির্দেশের ফলে শুক্রবার থেকে সমীক্ষার কাজ করবে ভারতীয় ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ (এএসআই)। হাইকোর্টের ইন্দোর বেঞ্চ গত সপ্তাহেই নির্দেশ দিয়েছিল যে ভোজশালার সমীক্ষা করবে এএসআই। 

হিন্দু সংগঠনগুলির দাবি, ধারের কামাল মাওলানা মসজিদ আসলে মা সরস্বতী মন্দির ভোজশালা। যেটি রাজা ভোজ ১০৩৪ সালে সংস্কৃতের অধ্যয়নের জন্য তৈরি করেছিলেন। মুঘল হানাদারদের দ্বারা সেটি ভেঙে ফেলেছিল। হিন্দু ফ্রন্ট ফর জাস্টিস ওই চত্বরে বৈজ্ঞানিক সমীক্ষার দাবিতে হাইকোর্টে আবেদন দাখিল করেছিল। হাইকোর্টের ইন্দোর বেঞ্চ এএসআইকে বৈজ্ঞানিক সমীক্ষার নির্দেশ দিয়েছে। ওই নির্দেশের পর স্থানীয় প্রশাসনকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আর্জি করে এএসআই।

২৯ এপ্রিলের আগে রিপোর্ট জমা

মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের ইন্দোর বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, কার্বন ডেটিং পদ্ধতির মাধ্যমে ওই প্রাঙ্গনে বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা করা হোক। উপরে এবং নীচে- উভয় কাঠামো কত পুরনো, তা জানা দরকার। তাছাড়া মন্দিরের দুটি অংশের মাটি ও কাঠামো দেখেও সনাক্ত করা সম্ভব। আদালতের এও জানিয়েছে, দুপক্ষের দুজন প্রতিনিধির উপস্থিতিতে সমীক্ষা চালাবে এএসআই। তার ভিডিওগ্রাফিও করবে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২৯ এপ্রিল। ওই তারিখের আগে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

ভোজশালা তৈরি করেছিলেন রাজা ভোজ

হিন্দু সংগঠনগুলির মতে, ধারে অবস্থিত কামাল মওলানা মসজিদটি আসলে মা সরস্বতী মন্দিরের ভোজশালা। ১০৩৪ সালে রাজা ভোজ সংস্কৃত পড়াশোনার জন্য ভোজশালা তৈরি করেছিলেন। কিন্তু পরে মুঘল আক্রমণকারীরা এটি ভেঙে দেয়।

ভোজশালার ইতিহাস কী? 

এক হাজার বছর আগে, ধারে শাসন করত পরমার রাজবংশ। রাজা ভোজ ১০০০ থেকে ১০৫৫ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত রাজত্ব করেছিলেন। রাজা ভোজ ছিলেন সরস্বতী দেবীর একনিষ্ঠ ভক্ত। তিনি ১০৩৪ খ্রিস্টাব্দে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তৈরি করেছিলেন। যা পরে 'ভোজশালা' নামে পরিচিত হয়। হিন্দুরা একে সরস্বতী মন্দির বলে মনে করে। কথিত আছে আলাউদ্দিন খিলজি ১৩০৫ খ্রিস্টাব্দে ভোজশালা ভেঙে দেন। পরবর্তীতে ১৪০১ খ্রিস্টাব্দে দিলওয়ার খান গৌরী ভোজশালার একটি অংশে মসজিদ নির্মাণ করেন। ১৫১৪ খ্রিস্টাব্দে মাহমুদ শাহ খিলজি আর একটি অংশে মসজিদ নির্মাণ করেন। ১৮৭৫ সালে খনন কাজ করা হয়েছিল। এই খননে দেবী সরস্বতীর একটি মূর্তি পাওয়া গেছে। মেজর কিনকেড নামের এক ইংরেজ এই মূর্তিটি লন্ডনে নিয়ে যান। বর্তমানে এই মূর্তিটি লন্ডনের মিউজিয়ামে রয়েছে। হাইকোর্টে দায়ের করা আবেদনে লন্ডন থেকে ওই মূর্তি ফিরিয়ে আনার দাবিও জানানো হয়েছে।

Advertisement

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement