সাম্প্রতিককালে আফগানিস্তানে (Afghanistan) ঘটে যাওয়া ঘটনাক্রমই বাংলাদেশে (Bangladesh) সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণকে উস্কানি দিয়েছে। মঙ্গলবার দিল্লির যন্তরমন্তরে এক বিক্ষোভ কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে কার্যত এমনটাই বললেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, "আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক ঘটনাবলীই বাংলাদেশেরে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলির কাছে প্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে। আর সেই কারণেই সেখানে হিন্দুদের ওপরে হামলা হয়েছে।"
দুর্গাপুজোর সময় থেকে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপরে যে আক্রমণ ও হিংসার ঘটনা ঘটেছে, তারই প্রতিবাদে মঙ্গলবার এই বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দেয় বাঙালি হিন্দু বাঁচাও সমিতি। তাতে অংশ নেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh), বিজেপির জাতীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায় সহ প্রমুখ।
দিলীপ ঘোষ বলেন, "বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর বারবার আক্রমণ হচ্ছে। একটি ঘটনা মিটতে না মিটতেই আরও একটি ঘটছে। স্পষ্টতই বাংলাদেশ সরকারের এই বিষয়ে কিছু করা উচিত। কারণ বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য হিন্দুরাও তাঁদের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। তাই তাঁদেরও রক্ষা করা উচিত।"
তৃণমূলের সমালোচনা
পাশাপাশি তৃণমূলের (TMC) মুখপত্রে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন নিয়ে এদিন বাংলার শাসক দলকেও নিশানা করেন দিলীপ ঘোষ। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণের ঘটানায় প্রধানমন্ত্রী চুপ কেন সেই প্রশ্ন তুলে তাঁর সমালোচনার পাশাপাশি বিজেপির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক সুবিধা লাভের অভিযোগ করা হয় ওই প্রতিবেদনে। যার প্রেক্ষিতে দিলীপ ঘোষ বলেন, "ঘটনাটি ঘটেছে বাংলাদেশে, আমরা কীভাবে ষড়ষন্ত্র করতে পারি? এরপরেই তৃণমূলকে বিঁধে দিলীপের পালটা প্রশ্ন, "যাঁরা বাঙালিদের দায়িত্ব নিয়েছিলেন, যারা ত্রিপুরা ও অসমে যান, তাঁদের উচিত বাংলাদেশের মানুষের পাশে দাঁড়ানো। তাঁরা কেন বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার জন্য আবেদন করেননি?" একইসঙ্গে বাংলাদেশে এই হিংসা বন্ধ না হলে এর তীব্র প্রতিক্রিয়া হতে পারে বলেও এদিন হুঁশিয়ারি দেন দিলীপ ঘোষ।
আরও পড়ুন - মা তারার আবির্ভাব দিবস, তারাপীঠে উপচে পড়া ভিড়