কথা ছিল গোয়া ঘুরতে যাবেন স্বামী-স্ত্রী। কিন্তু স্বামী গোয়ার নাম করে অযোধ্য-সহ একাধিক তীর্থস্থানে ঘুরতে নিয়ে গিয়েছিলেন স্ত্রীকে। ভেবেছিলেন স্ত্রী খুশি হবেন। কিন্তু হল উল্টো ফল। আনন্দ তো দূরের কথা, ডিভোর্স চেয়ে বসলেন স্ত্রী। ঘটনা মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভোপালের। বর্তমানে স্বামী-স্ত্রী দুজনকেই কাউন্সেলিং করা হচ্ছে।
সেখানকার পিপলানি এলাকার রিলেশনশিপ কাউন্সিলর শৈল অবস্থির মতে, গত বছরের আগস্টে দুজনেই বিয়ে করেন। স্বামী একজন আইটি ইঞ্জিনিয়ার এবং বেতনও বেশ ভালো। বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে হানিমুনে যাওয়ার বিষয়ে কথা হয়, তারপর স্ত্রী কোনো বিদেশি পর্যটন স্থানে যাওয়ার কথা বলে। এরপর স্বামী তার বৃদ্ধ বাবা-মাকে সঙ্গে নিয়ে দেশের কোনও পর্যটন স্থানে যাওয়ার কথা বললে তাঁরা দুজনেই গোয়া যেতে রাজি হন। স্ত্রীর অভিযোগ যে, তা সত্ত্বেও, তারা বেড়াতে যাওয়ার একদিন আগে, স্বামী তাকে বলেছিলেন যে তারা ধর্মীয় স্থান অযোধ্যা এবং বেনারসে যাচ্ছেন কারণ তাঁর শাশুড়ির মন্দিরে যেতে ইচ্ছে হয়েছিল।
স্ত্রী তাঁর পরিবারের সঙ্গে বেড়াতে গেলেও সেখান থেকে ফেরার পর একই বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে তুমুল ঝগড়া হয় এবং স্ত্রী পারিবারিক আদালতে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন। স্ত্রীর অভিযোগ, বিয়ের শুরু থেকেই তাঁর মতামতকে উপেক্ষা করা হয়েছে... সম্পর্কের পরামর্শদাতা শৈল অবস্থির মতে, স্ত্রী এটিকে বিশ্বাসঘাতকতা এবং বিশ্বাসের লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছেন এবং অভিযোগ করেছেন যে স্বামী তার পরিবারকে তাঁর চেয়ে বেশি সময় দেন, যার কারণে তিনি তখন থেকে অবহেলিত বোধ করছেন বিয়ের শুরু। বর্তমানে স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই কাউন্সেলিং করা হচ্ছে যাতে সম্পর্ক রক্ষা করা যায়।