Advertisement

DRDO Honey Trap: 'জারা'কে ব্রহ্মোসের গোপন তথ্য, টাকা নিয়ে দেশের সুরক্ষা বেচছে দেশদ্রোহীরা

DRDO Honey Trap: অতি সাধারণ ফাঁদেই পা দিচ্ছেন উচ্চশিক্ষিত বিজ্ঞানী, প্রতিরক্ষা খাতের কর্মীদের একাংশ। প্রেমের মধুর টানে স্বাভাবিক বিচারবুদ্ধি হারিয়ে ফেলছেন তাঁরা। টাকা বা কামের ফাঁদে পড়ে, গোপন তথ্য দিয়ে ফেলছেন। আজ এমন দু'টি ঘটনার বিষয়ে জানতে পারবেন। এঁদের মধ্যে একজন DRDO-র মতো গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার প্রতিভাবান বিজ্ঞানী।

বিজ্ঞানী বশীকরণ
Aajtak Bangla
  • পুনে,
  • 09 Jul 2023,
  • अपडेटेड 12:16 PM IST
  • প্রেম গড়ায় 'দুষ্টু' মেসেজ এবং ভিডিয়োতে। আর তাতেই বশীভূত হয়ে যান দুঁদে বিজ্ঞানী।
  • শুধু প্রেম, কামের ফাঁদেই কাজ হয়নি। নীরজকে মোটা টাকার বিনিময়ে স্পর্শকাতর তথ্য শেয়ার করার লোভ দেখানো হয়।
  • অতি সাধারণ ফাঁদেই পা দিচ্ছেন উচ্চশিক্ষিত বিজ্ঞানী, প্রতিরক্ষা খাতের কর্মীদের একাংশ।

DRDO Honey Trap: ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ বা  টুইটারে সুন্দরী তরুণীর মেসেজ। ভারতের বিজ্ঞানী বা প্রতিরক্ষা কর্মীদের এভাবেই 'হানি ট্র্যাপে' ফেলার চেষ্টা চলছে। দুষ্টু-মিষ্টি প্রেমের কথা বলে বা টাকার প্রলোভনে তাঁদের থেকে গোপন তথ্য হাতানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। 

সবচেয়ে আশঙ্কার বিষয়টি হল, এহেন অতি সাধারণ ফাঁদেই পা দিচ্ছেন উচ্চশিক্ষিত বিজ্ঞানী, প্রতিরক্ষা খাতের কর্মীদের একাংশ। প্রেমের মধুর টানে স্বাভাবিক বিচারবুদ্ধি হারিয়ে ফেলছেন তাঁরা। টাকা বা কামের ফাঁদে পড়ে, গোপন তথ্য দিয়ে ফেলছেন। আজ এমন দু'টি ঘটনার বিষয়ে জানতে পারবেন। এঁদের মধ্যে একজন DRDO-র মতো গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার প্রতিভাবান বিজ্ঞানী। অপর জন দেশের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা BSF কর্মী। হানি ট্র্যাপে পড়ে শত্রু দেশকেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়ে ফেলেছেন এঁরা। এই ঘটনা যেন কোনও হলিউডের স্পাই সিনেমাকেও হার মানাবে। 

'দুষ্টু' ভিডিয়ো দিয়ে বিজ্ঞানী বশীকরণ
প্রথম ঘটনাটি মহারাষ্ট্রের পুনের। সম্প্রতি এই ঘটনা দেশজুড়ে গবেষণা মহলে শোরগোল ফেলে দিয়েছে। মহারাষ্ট্র ATS পুনে থেকে ডিআরডিও-র বিজ্ঞানী প্রদীপ কুরুলকারকে গ্রেফতার করেছে। প্রদীপ কুরুলকর ডিআরডিও-তে বিজ্ঞানী হিসেবে কাজ করতেন। সুন্দরী তরুণীর হাতছানিতে ফেঁসে গিয়েছিলেন তিনিও। আর সেই ফাঁদে পড়েই তিনি পাকিস্তানকে DRDO-র গোপন তথ্য দিয়ে দেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এটিএস-এর অভিযোগ, প্রদীপ পাকিস্তানের মহিলা গুপ্তচরের প্রেমে পড়ে গিয়েছিলেন। সেই মহিলা এজেন্ট তাঁর নাম 'জারা দাশগুপ্ত' বলে জানিয়েছিলেন। পাকিস্তানের ওই এজেন্ট প্রতিরক্ষা প্রকল্প ছাড়াও, ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা তাঁর সঙ্গে আলোচনা করতেন। ধীরে ধীরে অনেক গোপন তথ্যই হাতিয়ে নিয়েছিলেন প্রদীপের থেকে। 

কীভাবে ধরা পড়লেন?
পাকিস্তানের মহিলা গুপ্তচর প্রদীপের কাছে নিজেকে জারা দাশগুপ্ত বলে পরিচয় দিয়েছিলেন। জানিয়েছিলেন, তিনি ব্রিটেনের একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। প্রেমের মেসেজ দিয়ে শুরু। প্রেম গড়ায় 'দুষ্টু' মেসেজ এবং ভিডিয়োতে। আর তাতেই বশীভূত হয়ে যান দুঁদে বিজ্ঞানী। প্রেমের জালে আটকে যান প্রদীপ কুরুলকার। আর এই সুযোগেই ব্রাহ্মোস লঞ্চার, ড্রোন, ইউসিভি, অগ্নি মিসাইল লঞ্চার এবং মিলিটারি ব্রিজিং সিস্টেম সম্পর্কে গোপন তথ্য জেনে নেন মহিলা গুপ্তচর। সেই তথ্য তিনি পাঠিয়ে দেন তাঁর 'বস'দের কাছে।

Advertisement

গোপন তদন্তে এগুলি নজরে আসে মহারাষ্ট্র ATS-এর। দেখা যায় 'জারা জসগুপ্ত'-র আইপি অ্যাড্রেস পাকিস্তানের। সেখানেই গিয়েছে সমস্ত তথ্য। 

সন্দেহ হতেই নম্বর ব্লক
ATS জানিয়েছে জারা এবং প্রদীপ ২০২২ সালের জুন থেকে সেই বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত এই অনলাইন প্রেমালাপ চালিয়েছিলেন। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে গিয়ে টনক নড়ে বিজ্ঞানীর। প্রেমেরই সম্পর্ক যদি, সেক্ষেত্রে এত গোপন তথ্য কেন জানতে চাওয়া হচ্ছে? সঙ্গে সঙ্গে জারার নম্বর ব্লক করে দেন তিনি। মজার বিষয় হল, তারপরেই প্রদীপের কাছে একটি অচেনা ভারতীয় নম্বর হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ আসে। তাতে দুঃখিত প্রেমিকার মতো করুণ জানতে চাওয়া হয়, 'আপনি আমার নম্বর ব্লক করেছেন কেন?'

বর্তমানে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন বিজ্ঞানী প্রদীপ কুরুলকার।

টাকা ও প্রেমের হাতছানি
পাকিস্তানের সুন্দরী গুপ্তচরের প্রেমে কাবু হয়েছেন BSF-এর ডাকাবুকো কর্মীও। বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের একজন চুক্তিভিত্তিক কর্মীকেও ফাঁসিয়েছিল পাকিস্তানের এক মহিলা এজেন্ট। সেই ফাঁদে পড়ে দেশের প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত স্পর্শকাতর তথ্য জানিয়ে দিয়ছিলেন তিনিও। তদন্তে বিষয়টি নজরে আসতেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। 

অভিযুক্ত নীলেশ বালিয়া দ্বাদশ পাশ। গত ৫ বছর ধরে ভূজের বিএসএফ সদর দফতরের কাজ করছেন। কেন্দ্রীয় গণপূর্ত দফতরের বিদ্যুৎ বিভাগের পিয়ন। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে নীলেশ ওই পাকিস্তানি মহিলার সঙ্গে কথা শুরু করেন। সেই সময়ে তিনি বিএসএফ-এর ভবনের বৈদ্যুতিক কাজের বিষয়ে বেশ কিছু গোপন তথ্য, নথি শেয়ার করেন।

হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে নীলেশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন ওই মহিলা। তবে শুধু প্রেম, কামের ফাঁদেই কাজ হয়নি। নীরজকে মোটা টাকার বিনিময়ে স্পর্শকাতর তথ্য শেয়ার করার লোভ দেখানো হয়। মহিলা নিজেকে অদিতি তিওয়ারি বলে পরিচয় দিয়েছিলেন। একটি প্রাইভেট ফার্মের কর্মী বলে দাবি করেছিলেন। তিনি বালিয়াকে বলেন, তাঁর কাজের জন্য এই তথ্য প্রয়োজন। এর জন্য টাকাও দেওয়া হবে। এদিকে অফিসের পিওন নীলেশও 'প্রেমের যোগ্য' হতে নিজেকে একজন কম্পিউটার অপারেটর হিসাবে পরিচয় দিয়েছিলেন।

এরপর সময়ের সঙ্গে টাকা গ্রহণ করে তিনি অদিতির কথামাফিক গোপন তথ্য পাঠিয়ে দেন। কথা মতো নীলেশকে UPI লেনদেনের মাধ্যমে ২৮,৮০০ টাকা পাঠিয়েও দেওয়া হয়েছিল৷ তবে সেই টাকা আর ভোগ করা হয়নি নীলেশের। আপাতত পুলিশি হেফাজতে তিনি।
 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement