মঙ্গলবার দিল্লি-NCR- সহ উত্তর ভারতে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়। কম্পন এতটাই শক্তিশালী ছিল যে, সাধারণ মানুষ ঘর-বাড়ি ও অফিস-আদালত ছেড়ে রাস্তায় ও খোলা মাঠে নেমে আসে। তবে মঙ্গলবার এক-দুইবার নয়, চারবার ভূমিকম্প হয়। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল নেপালে। সেখানে মাত্র আধঘণ্টচার মধ্যে দু বার ভূমিকম্প হয়। সেই দেশে ভূমিকম্পের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে, তার প্রভাব পড়ে ভারতেও।
নেপালে ভূমিকম্প এতটাই শক্তিশালী ছিল যে বাড়ির দেওয়াল ধসে পড়ে। সেই ছবিও সামনে আসে। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির তরফে জানানো হয়, চতুর্থ ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল সবথেকে বেশি। রিখটার স্কেলে তীব্রতা ছিল ৬.২।
নেপালে প্রথম ভূমিকম্প হয় দুপুর ২.৪৫ মিনিটে। যার তীব্রতা ৫.৩। এরপর ৩ টে ৬ মিনিটে দ্বিতীয় ভূমিকম্প হয়। যার তীব্রতা ৬.২। নেপালে যেখানে ভূমিকম্পটির উৎসস্থল সেখান থেকে কাঠমান্ডু প্রায় ৪৬০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। নেপালের পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলা যেমন কৈলালি, কাঞ্চনপুর, লুম্বিনীতে এর প্রভাব পড়ে। নেপাল থেকে একাধিক ছবি আসে। সেখানে দেখা যায়, একাধিক বাড়ি ভেঙে পড়েছে। ধস নেমেছে কোনও কোনও এলাকায়।
ভূমিকম্প কতটা বিপজ্জনক?
এটি রিখটার স্কেলে পরিমাপ করা হয়। ভূমিকম্পে, রিখটার স্কেলের প্রতিটি স্কেল আগের স্কেলের চেয়ে ১০ গুণ বেশি বিপজ্জনক। - ০ থেকে ১.৯ তীব্রতার ভূমিকম্প শুধুমাত্র সিসমোগ্রাফ দ্বারা সনাক্ত করা যেতে পারে।
২ থেকে ২.৯ তীব্রতার ভূমিকম্প যেখানে হয় সেখানে সামান্য কম্পন অনুভূত হয়।
যখন ৩ থেকে ৩.৯ মাত্রার ভূমিকম্প হয়, তখন ভালো কম্পন বোঝা যায়।
৪ থেকে ৪.৯ মাত্রার ভূমিকম্পে জানালা ভেঙে যেতে পারে। দেওয়ালে ঝুলন্ত ফ্রেম পড়ে যেতে পারে।
৫ থেকে ৫.৯ মাত্রার ভূমিকম্পে বাড়ির আসবাবপত্র কেঁপে উঠতে পারে।
৬ থেকে ৬.৯ মাত্রার ভূমিকম্পে ভবনগুলির ভিত্তি ফাটল হতে পারে, যার ফলে উপরের তলাগুলির ক্ষতি হতে পারে।
৭ থেকে ৭.৯ মাত্রার ভূমিকম্প হলে ভবনগুলো ধসে পড়ে। পাইপলাইন মাটির নিচে ফেটে গেছে।
৮ থেকে ৮.৯ মাত্রার ভূমিকম্পে ভবনের পাশাপাশি বড় ব্রিজও ভেঙে পড়তে পারে।
৯ বা তার বেশি তীব্রতার ভূমিকম্প ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ঘটায়। কেউ মাঠে দাঁড়িয়ে থাকলে দেখবে পৃথিবী কাঁপছে। সমুদ্র কাছাকাছি থাকলে সুনামি হতে পারে।