জেলবন্দি তৃণমূল বিধায়ক পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাটে যে ভাবে নোটের পাহাড় উদ্ধার হয়েছিল, ঠিক একই ভাবে এবার ঝাড়খণ্ডে (Jharkhand) মন্ত্রীর আপ্তসহায়কের পরিচারকের বাড়িতে উদ্ধার হল প্রায় ৩০ কোটি নগদ টাকা। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট-এর(ED) তল্লাশি অভিযানে এই টাকার পাহাড় উদ্ধার হয়েছে। টাকা গোনা চলছে, ফলে তা ৩০ কোটি ছাড়িয়ে যেতে পারে বলেও অনুমান।
পরিচারকের বাড়িতে টাকার পাহাড়
আর্থিক তছরূপের মামলায় রাঁচিতে আজ অর্থাত্ সোমবার বেশ কিছু জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে ইডি। সেই অভিযানেই ঝাড়খণ্ডের গ্রামীণ বিকাশ মন্ত্রী আলমগির আলমের (Alamgir Alam) আপ্তসহায়ক সঞ্জীব লালের পরিচারকের বাড়িতেও তল্লাশি চলে। ঝাড়খণ্ডের গ্রামীণ বিকাশ দফতরের সচিব বীরেন্দ্র কে রামকে ২০২৩ সালেই গ্রেফতার করেছিল ইডি। ইডি-র অফিসারদের বক্তব্য, উদ্ধার হওয়া নোটের পাহাড় কালোটাকা। কিছু দিন আগেই ঝাড়খণ্ডে নির্বাচনী প্রচার সেরেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই সভায় দুর্নীতির প্রসঙ্গে বিরোধীদের নিশানা করেছিলেন মোদী। দিন তিনেকের মধ্যেই টাকার পাহাড় উদ্ধার হল।
কে এই আলমগির আলম?
আলমগির আলম পাকুড় বিধানসভা কেন্দ্রে কংগ্রেসের ৪ বারের বিধায়ক। বর্তমানে রাজ্যের গ্রামীণ বিকাশ মন্ত্রী। এর আগে ২০০৬ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত তিনি ঝাড়খণ্ড বিধানসভার স্পিকারও ছিলেন। ২০০০ সালে প্রথমবার তিনি বিধায়ক নির্বাচিত হন।
ঝাড়খণ্ডে দুর্নীতি ইস্যুকেই হাতিয়ার মোদীর
গত শনিবার ঝাড়খণ্ডের পালামুতে ভোটের প্রচারে বিরোধীদের নিশানায় প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতি ইস্যুকেই হাতিয়ার করেন। বলেন, ‘জেএমএম-কংগ্রেস নেতারা দুর্নীতি করে অনেক সম্পত্তি বানিয়েছেন। আমার একটা সাইকেলও নেই। আমি চাই আপনাদের সন্তানদের জন্য বিকশিত ভারত উপহার দিতে। প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আমি প্রায় ২৫ বছর ধরে দেশের সেবায় নিয়োজিত থেকেছি। এই ২৫ বছরে মোদীর বিরুদ্ধে এক পয়সারও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠেনি। আপনাদের আশীর্বাদে, আমার বিরুদ্ধে কোনও দুর্নীতির অভিযোগ নেই।’