২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সোমবার নির্বাচনী প্রচারে শিশু ও নাবালকদের যুক্ত না করার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কমিশন কঠোর নির্দেশিকা জারি করে বলেছে যে শিশু বা অপ্রাপ্তবয়স্কদের সাধারণ নির্বাচনে প্রচারপত্র বিতরণ, পোস্টার সাঁটানো, স্লোগান দিকে বা দলীয় পতাকা ও ব্যানার বহন করতে দেখা যেন না যায়।
'প্রচারে শিশুদের যুক্ত করা বরদাস্ত নয়'
নির্বাচন কমিশন বলছে, নির্বাচন সংক্রান্ত কাজে বা নির্বাচনী প্রচারের কাজে শিশুদের সম্পৃক্ত করা বরদাস্ত করা হবে না। এই নির্দেশিকাতে শিশুদেরকে রাজনৈতিক প্রচারে সম্পৃক্ত করা, যার মধ্যে রয়েছে কবিতা, গান, স্লোগান বা শিশুদের দ্বারা উচ্চারিত শব্দ আবৃত্তি করা বা কোনো রাজনৈতিক দল বা প্রার্থীর প্রতীক প্রদর্শন করা চলবে না। নির্বাচনী প্রচারে শিশুদের যুক্ত করা বরদাস্ত করা হবে না।
'নির্দেশ অমান্য করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে'
কমিশন বলেছে যে কোনো দল যদি তাদের নির্বাচনী প্রচারে শিশুদের জড়িত করে, তবে শিশুশ্রম সংক্রান্ত সমস্ত আইনের অধীনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে, কোনো রাজনৈতিক নেতার আশেপাশে কোনো শিশুর সঙ্গে তার পিতা-মাতা বা অভিভাবকের উপস্থিতি নির্বাচনী প্রচার মূলক কার্যকলাপ হিসাবে চিহ্নিত হবে না এবং এই নির্দেশিকা লঙ্ঘন বলে বিবেচিত হবে না।
শিশুদের প্রচারের কাজে লাগান হলে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে সে সম্পর্কে তথ্য দিয়ে কমিশন বলেছে যে সমস্ত রাজনৈতিক দল এবং প্রার্থীদের শিশু শ্রম (নিষেধ ও নিয়ন্ত্রণ) আইন, ১৯৮৬-এর সংশোধিত শিশু শ্রম (নিষেধ এবং নিয়ন্ত্রণ) আইনের কঠোরভাবে মেনে চলা নিশ্চিত করতে হবে।
রাজনৈতিক দলগুলির অনুমতি দেওয়া উচিত নয়: কমিশন
নির্দেশিকায় বোম্বে হাইকোর্টের একটি সিদ্ধান্তের উদ্ধৃতি দিয়ে, কমিশন বলেছে যে সংশোধিত আইন, ২০১৬ অনুযায়ী, সমস্ত রাজনৈতিক দলের নিশ্চিত করা উচিত যে শিশুরা নির্বাচনী প্রচারে জড়িত না থাকে এবং দলগুলি তাদের প্রার্থীদের এটির অনুমতি না দেয়।