প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অযোধ্যা সফরের পরদিনই রাম মন্দিরে বোমা হামলার হুমকি। শুধু তাই নয়। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ও ইউপি এসটিএফ প্রধান অমিতাভ যশকে বোমা মেরে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়েছে। হুমকি ইমেলে দাবি করা হয়েছে যে, এটি আইএসআই জঙ্গী গোষ্ঠী থেকে পাঠানো হচ্ছে। ভারতীয় কিষাণ মঞ্চের জাতীয় সভাপতি দেবেন্দ্র তিওয়ারিকে এই হুমকি মেইল পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় লখনউয়ের সুশান্ত গল্ফ সিটি থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
তথ্যানুসারে, ভারতীয় কিষাণ মঞ্চ এবং জাতীয় গো পরিষদের সঙ্গে যুক্ত দেবেন্দ্র তিওয়ারি ২৭ ডিসেম্বর দুপুর ২টো নাগাদ একটি ইমেল পান। তাতে আপত্তিকর শব্দ ব্যবহার করে অভিযুক্তরা অযোধ্যার শ্রী রাম মন্দির, ইউপির মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং এসটিএফ প্রধান অমিতাভ যশের উপরে হামলার হুমকি দিয়েছে। ই-মেইল পাঠানো ব্যক্তির নাম জুবের হোসেন (খান) বলে জানা গিয়েছে। ইমেলে দাবি করা হয়েছে, সন্ত্রাসবাদী সংগঠন আইএসআই-এর সঙ্গে সে যুক্ত।
এ প্রসঙ্গে দেবেন্দ্র তিওয়ারি একটি পোস্ট করেছেন। তাতে তিনি লিখেছেন, আমি জুবের খান নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে একটি খুনের হুমকির ইমেল পেয়েছি। সরকার ও প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তা ও বিশেষ তদন্তে দাবি জানাই। যদি এই বিষয়ে আমল না দেওয়া হয়, তাহলে হয়তো আমি এটাই মেনে নেব যে আমার নামও এই জিহাদি ব্যক্তিরা ব্ল্যাকলিস্টে ফেলেছে। খুব শীঘ্রই আমিও গো সেবার নামে শহীদ হতে পারি।
ইউপি-১১২-এর পরিদর্শকের অভিযোগে গল্ফ সিটি থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। লখনউ পুলিশের পাশাপাশি এই ঘটনার তদন্তে এটিএসও নেমেছে। আইপি অ্যাড্রেসের মাধ্যমে ই- মেইল প্রেরকের লোকেশন সনাক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এর আগেও দেবেন্দ্র তিওয়ারির বাড়িতে পাঠানো একটি ব্যাগে হুমকি চিঠি মিলেছিল। তাতে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ও দেবেন্দ্রকে বোমা হামলার হুমকি দেওয়া হয়। বেআইনি কসাইখানার বিরুদ্ধে আদালতে পিআইএল দায়ের করেছিলেন দেবেন্দ্র। এই কারণে তাঁকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। তবে পুলিশ এখনও পর্যন্ত ঘটনায় অভিযুক্তদের খুঁজে বের করতে পারেনি।