আরজি করের তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় এবার মুখ খুললেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। ঘটনায় তিনি ভীত ও হতাশ। একথা জানিয়ে রাষ্ট্রপতির তিনি বলেন, 'এমন ঘটনা অনভিপ্রেত। অনেক হয়েছে। সমাজে এই ধরনের ঘটনা কীভাবে সম্ভব?'
দ্রৌপদী মুর্মু বলেন, 'কোনও সভ্য সমাজে কন্যা ও বোনেরা এই ধরনের নৃশংসতার শিকার হতে দিতে পারে না। এই ধরনের অপরাধ বন্ধ হওয়া দরকার।' ডাক্তার, নাগরিক সমাজ, শিক্ষক সবাই রাস্তায় নামলেও অপরাধীরা এখনও ধরা পড়ল না কেন, তা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপতি।
মহিলার উপর অত্যাচারের ঘটনায় ক্ষুব্ধ রাষ্ট্রপতি। পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, 'যথেষ্ট হয়েছে, আর নয়।' সাধারণ মানুষের বিবেক জাগ্রত করার পক্ষেও মত দেন তিনি। তাঁর মতে, 'সমাজের প্রয়োজন সৎ, নিরপেক্ষ আত্মদর্শন। নিজেকে কঠিন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে শিখুন।'
নির্ভয়াকাণ্ডের ১২ বছরের মধ্যে এই রকম ঘটনা কেন ঘটল সেই প্রশ্ন তুলে রাষ্ট্রপতি বলেন,'নির্ভয়া কাণ্ডের ১২ বছর পরও এমন ঘটনা হচ্ছে। সেই ভয়াবহ ঘটনা কি সমাজ ভুলে গেছে? ,সবার স্মৃতিশক্তি যেন লোপ পেয়েছে। এটা খুব দুর্ভাগ্যের। খুবই দুঃখের বিষয় যে, আজও একজন মহিলাকে সাধারণ মানুষ কম শক্তিশালী, কম সক্ষম, কম বুদ্ধিমান হিসাবে দেখে।'
প্রসঙ্গত, কলকাতার আরজি কর হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় দেশজুড়ে আন্দোলন চলছে। কলকাতা ও জেলায় জেলায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছে নাগরিক মঞ্চ। একাধিক রাজনৈতিক দলও ময়দানে নেমেছে। ঘটনার পর কেটে গেছে ১৯ দিন। তারপরও দিকে দিকে বিক্ষোভ-আন্দোলন চলছে। তারমধ্যেই মুখ খুললেন দেশের রাষ্ট্রপতি।
আরজি কর কাণ্ড নিয়ে এর আগেই মুখ খুলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মহারাষ্ট্রে একটি সম্মেলন থেকে মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। সেদিন তিনি বলেন, 'নারী নিরাপত্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমি সব রাজ্যের সরকারকে বলব, মহিলাদের ওপর হওয়া অত্যাচারের ক্ষেত্রে অপরাধের কোনও ক্ষমা নেই। অভিযুক্ত যেই হোক না কেন, তার ছাড় পাওয়া উচিত নয়।'
স্বাধীনতা দিবসের দিনও আরজি করের নাম না নিয়েও তিনি মন্তব্য করেছিলেন। সেদিন বলেছিলেন, 'আমি মানুষের ক্ষোভ, অসন্তোষের কারণ অনুভব করতে পারছি। আমরা মেয়েদের সুরক্ষা দিতে পারিনি।'