হাওড়া-সেকেন্দ্রাবাদ ফলকনুমা এক্সপ্রেস আগুন। আগুন লাগার পর যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। মুহূর্তের মধ্যে আগুন এতটাই প্রবল হয়ে ওঠে যে ট্রেনের তিনটি বগি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তবে এই দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত হতাহতের খবর নেই। যাত্রীরা সবাই নিরাপদ বলে জানা গেছে।
রেলের সিপিআরও জানিয়েছে যে ফলকনুমা এক্সপ্রেস হাওড়া থেকে সেকেন্দ্রাবাদের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিল। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ তেলঙ্গানার নালগোন্ডার কাছে পাগিদিপল্লি-বোমাইপল্লির মধ্যে ট্রেনটিতে আগুন লাগে। মুহূর্তের মধ্যে আগুন আগুন ধীরে ধীরে ৬টি বগিতে ছড়িয়ে পড়ে। ৪টি বগি সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। আগুনের কারণে S4, S5 এবং S6 কোচ পুরোপুরি পুড়ে গেছে।
আগুন লাগার পরপরই যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়া হয়। এখন তাঁদের অন্য ট্রেনে পাঠানো হচ্ছে। ট্রেনে আগুন লাগার কারণ এখনও জানা যায়নি। তদন্ত শুরু করেছে রেল। শর্ট সার্কিটের কারণে আগুন লেগেছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। রেলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দুর্ঘটনায় কেউ প্রাণ হারায়নি। দুর্ঘটনার ভিডিও সামনে এসেছে। এতে দেখা যায় ট্রেনের বগিগুলো আগুনে পুড়ছে।
গত মাসের শুরুতেই ওড়িশার বালেশ্বরে বাহানাগা বাজার স্টেশনের কাছে করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন প্রায় তিনশো জন। আহত হয়েছেন ১১০০ যাত্রী। করমণ্ডল এক্সপ্রেসের সিগন্যাল আপ মেন লাইনের দিকে থাকলেও পয়েন্ট লুপ লাইনের দিকে ঘোরানো ছিল। ফলে ওই লুপ লাইনে ঢুকেই দাঁড়িয়ে থাকা মালগাড়িতে ধাক্কা মারে করমণ্ডল। ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে করমণ্ডল একপ্রেসের বহু বগি। এরপর ডাউন লাইনে আসা যশবন্তপুর এক্সপ্রেস এসে ধাক্কা মারে করমণ্ডল এক্সপ্রেসকে। সেই দুর্ঘটনার এক মাস পেরিয়ে যাওয়ার পর তদন্ত রিপোর্ট দিয়েছে কমিশনার অব রেলওয়েজ সেফটি(CRS)। ওই রিপোর্ট বলা হয়েছে, মানুষের ভুলেই ওই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। যদিও এই দুর্ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই।