উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh) ধর্ষণের শিকার ১৩ বছরের কিশোরী। উত্তরপ্রদেশের ফারুখাবাদের এই ঘটনায় অভিযোগের তির স্থানীয় সরকারি স্কুলের পিয়নের বিরুদ্ধে। শনিবার পুলিশ জানিয়েছে অভিযুক্তর বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় ওই কিশোরীর পরিবার ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করেছে৷ পরিবারের লোকেদের অভিযোগ, ওই নাবালিকা বাথরুম করতে গেলে, পঙ্কজ ও অমিত নামের দুই ব্যক্তি তাকে অপহরন করে খালি বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে।
পঙ্কজের পাহারায় ধর্ষণ করে অমিত। তাই শুধু অমিতের বিরুদ্ধে নয়, অভিযোগ দায়ের হয়েছে পঙ্কজের বিরুদ্ধেও। অভিযুক্তকে কিশোরীর অপহরণ-ধর্ষণে সাহায্য করেছিলেন বলে অভিযোগ। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে একজন পুলিশ কর্তা বলেন, '১৩ বছর বয়সী মেয়েটির পরিবার অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। মেয়েটি রাতে শৌচকর্ম করতে গেলে গ্রামের পঙ্কজ ও অমিত তাঁকে ধরে একটি খালি বাড়িতে নিয়ে যায়৷ অমিত তাঁকে ধর্ষণ করে এবং পঙ্কজ বাইরে দাঁড়িয়ে নজর রাখে৷ অভিযুক্তরা মুখে কাপড় দিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ করে। এরপর মেয়েটিকে হুমকি দেওয়া হয়, অভিযোগ করলে তাঁকে মেরে ফেলা হবে। কিন্তু, মেয়েটি পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হলে বিষয়টি তাঁর মা জানতে পেরে যান। তারপর তিনি স্থানীয় থানায় গিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান৷'
আরও অভিযোগ, শুধু ধর্ষণ নয়, খুনের হুমকিও দেওয়া হয়েছিল কিশোরীকে। ঘটনার কথা জানাজানি হলে ওই কিশোরীকে মেরে ফেলা হবে। এমনটাই হুমকি দিয়েছিল, অভিযুক্তরা।
অভিযুক্তের বিরুদ্ধে যৌন অপরাধ থেকে শিশুদের সুরক্ষা (পকসো) আইনের অধীনে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে ৷ পঙ্কজ, কাউন্সিল স্কুলের একজন পিয়ন। কেয়ামগঞ্জ কোতোয়ালির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর রাম অবতার জানান, মেয়েটির প্রাথমিক স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। এ ঘটনায় শিঘ্রই গ্রেফতার করা হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি৷