যোগীরাজ্যের হাতরস ধর্ষণকাণ্ড নিয়ে যখন শোরগোল পড়েছে গোটা দেশে তখন কংগ্রেস শাসিত ছত্তিশগড়ের সামনে এল নাবালিক ধর্ষণের ঘটনা। এবারও পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে উঠল অসহযোগিতার অভিযোগ। ইতিমধ্যেই ওই কিশোরী আত্মঘাতী হয়েছেন। এরপরেও পুলিশ এফআইআর দায়ের না করায় কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বাবা।
বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশের পর নাবালিক ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে কংগ্রেস শাসিত মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থানেও। এবার তার সঙ্গে যুক্ত হল ছত্তিশগড়ও। জানা যাচ্ছে, গত জুলাই মাসে প্রতিবেশী গ্রামের একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়েছিল বছর ১৬-১৭ ওই কিশোরী। অভিযোগ সেখানেই তাকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে ৭ ব্যক্তি। ধর্ষকরা তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়ায় কারওকে কিছু বলতে পারেনি ওই কিশোরী। বাবা-মা বিয়েবাড়িতে থেকে গেলেও তাঁদের কিছু না-জানিয়েই বাড়ি ফিরে আসে নিগৃহীতা। এরপর নিগৃহীতা ২০ জুলাই আত্মঘাতী হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
বাস্তার রেঞ্জের আইজি আইজি পি সুন্দররাজ জানিয়েছেন, বহু দিন পর মেয়েটির এক বন্ধু মৃতার বাবা-মাকে ধর্ষণের ঘটনাটি জানায়। তাকেই এই কথা জানিয়েছিল নাবালিকা। মেয়ের ওপর চলা অন্যায়ের বিচার না পেয়ে কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বাবা। যদিও শেষপর্যন্ত তাঁকে বাঁচান গিয়েছে। বিষয়টি সামনে আসতেই নড়চড়ে বসে পুলিশ। শিশু অধিকার রক্ষার জাতীয় কমিশনের চেয়ারপার্সন যশবন্ত জৈন কোন্ডাগাঁওয়ের পুলিশ সুপারকে চিঠি লিখেন। অভিযোগ না-নেওয়ার জন্য স্থানীয় থানার ইনসপেক্টরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানান তিনি। ১০ দিনের মধ্যে এই বিষয়ে সবিস্তার তদন্ত রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে শিশু অধিকার রক্ষার জাতীয় কমিশন।