Gyanvapi Row: বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদে তিন দিন ধরে চলা সমীক্ষার কাজ শেষ। সোমবার তৃতীয় দিনে মসজিদের ভিতরে একটি কুয়ো ভিডিও সমীক্ষা চালানো হয়। হিন্দু পক্ষের আইনজীবীরা দাবি করেন যে এখানে একটি শিবলিঙ্গ পাওয়া গেছে। তারপরে আদালত ওই চত্বরে চারপাশে যাওয়া নিষিদ্ধ করেছে। এখানেও ওয়াজু নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়াও, জ্ঞানবাপীতে এখন মাত্র ২০ জনকে নামাজের কথা বলা হয়েছে। যদিও মসজিদ কমিটির দাবি ওয়াজুখানায় ওটি আদতে একটি ফোয়ারা।
কীসের ছবি উঠে এসেছে
আজ তকের হাতেও কিছু এক্সক্লুসিভ এসেছে, যেগুলোকে হিন্দু পক্ষ থেকে শিবলিঙ্গ বলে দাবি করা হচ্ছে। দাবি করা হয়েছে যে জ্ঞানবাপী মসজিদের কূপের ভিতরে একটি শিবলিঙ্গ রয়েছে, যার পরে বারাণসী আদালতের নির্দেশে এর আশেপাশের এলাকাটি সিল করে দেওয়া হয়েছে। জরিপের জন্য আসা দলটি প্রাচীন কূপের ভিডিওগ্রাফির জন্য ভিতরে একটি ওয়াটার প্রুফ ক্যামেরা রেখেছিল। তিন দিনের জরিপে জ্ঞানবাপী মসজিদের নিচ থেকে গম্বুজ ও পশ্চিম দেয়াল পর্যন্ত ভিডিওগ্রাফি করা হয়েছে। এখন এইসব প্রমাণ মঙ্গলবার আদালতে পেশ করা হবে।
শুরু বিতর্ক
হিন্দু পক্ষের আইনজীবী মদন মোহন যাদব দাবি করেছেন যে জ্ঞানবাপীর ওয়াজুখানায় ১২ ফুট ৮ ইঞ্চি একটি শিবলিঙ্গ পাওয়া গেছে। তাঁদের দাবি, কূপ থেকে জল বের করে নেওয়ার পর দেখা গেছে, ওই শিবলিঙ্গটি ১২ ফুট ৮ ইঞ্চি, যা লম্বায়। তিন রাউন্ডে সমীক্ষার কাজ সম্পন্ন হয়। সোমবার ছিল চূড়ান্ত পর্বের সমীক্ষা। ১৪ মে জ্ঞানবাপী মসজিদের ভিতরে প্রথম সমীক্ষা করা হয়েছিল। প্রথম দিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত জরিপ চালানো হয়। রাউন্ড-১-এ ৪টি সেলারের তালা খুলে জরিপ করা হয়।
নজর আদালতের দিকে
১৫মে দ্বিতীয় দফা জরিপ করা হয়। দ্বিতীয় দিনেও চার ঘণ্টা জরিপ কাজ চললেও কাগজপত্রের কারণে জরিপ দল দেড় ঘণ্টা দেরি করে বের হয়।
রাউন্ড-২-এ গম্বুজ, নামাজের স্থান, ওজু স্থলের পাশাপাশি পশ্চিম দেয়ালের ভিডিওগ্রাফি করা হয়। সোমবার তৃতীয় দিনে প্রায় ২ ঘণ্টার কাজ হয়েছে। জরিপ দল কূপ থেকে অবশিষ্ট এলাকা পরিদর্শন করেছে। ফটোগ্রাফি-ভিডিওগ্রাফিও করা হয়েছে।
হিন্দু পক্ষ দাবি জোরালো দাবি করা হচ্ছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সমীক্ষার সঙ্গে জড়িত ওই আইনজীবী জানান, তিনটি ঘরে সাপের মূর্তি, কলস, ঘণ্টা, স্বস্তিক, সংস্কৃত শ্লোক ও রাজহাঁসের মূর্তি পাওয়া গেছে, যা তাদের পক্ষে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ। এছাড়া হিন্দু মন্দিরের স্তম্ভ পাওয়া গেছে। তবে শিবলিঙ্গ পাওয়ার দাবি বরাবরই অস্বীকার করে আসছে মুসলিম পক্ষ। এই সমস্ত দাবির মধ্যে, এই বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টেও পৌঁছেছে, যার শুনানি মঙ্গলবার।