হরিয়ানার বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা নিয়ে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছে কংগ্রেস। তারা অভিযোগ করেছে যে ফলাফল প্রকাশে বিলম্ব করে কমিশন স্বচ্ছতার প্রশ্ন তুলছে, যা নির্বাচনী প্রক্রিয়ার উপর প্রভাব ফেলতে পারে। কংগ্রেসের সিনিয়র নেতা জয় রাম রমেশ দাবি করেছেন যে নির্বাচন কমিশন ইচ্ছাকৃতভাবে ধীরগতিতে ফলাফল আপডেট করছে, যা ভোটের স্বচ্ছতাকে হুমকির মুখে ফেলছে এবং এতে বিজেপি সুবিধা পেতে পারে।
কংগ্রেসের অভিযোগ: ওয়েবসাইটে প্রবণতা ধীরগতিতে আপডেট
জয় রাম রমেশ কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বলেছেন, "নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে ফলাফলের প্রবণতা ইচ্ছাকৃতভাবে ধীর গতিতে ভাগ করা হচ্ছে, যা নির্বাচন প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে। এটি আশঙ্কা তৈরি করছে যে বিজেপি প্রশাসনের উপর প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করছে।" তিনি আরও বলেন, "ভোটারদের অধিকার ক্ষুণ্ন হচ্ছে, এবং এটি নির্বাচনী প্রক্রিয়ার উপর জনগণের বিশ্বাসকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।"
বিজেপির চাপ সৃষ্টির অভিযোগ
কংগ্রেসের আরও এক নেতা, সুপ্রিয়া শ্রীনেট, এই অভিযোগকে সমর্থন করে বলেন, "এই প্রবণতা শীঘ্রই বদলে যাবে। নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট সঠিকভাবে আপডেট হচ্ছে না, তবে আমাদের ডেটা অনুযায়ী, কংগ্রেস এগিয়ে রয়েছে।" কংগ্রেস নেতা পবন খেদা তাদের দলের এজেন্টদের নিজ নিজ কেন্দ্রে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
কংগ্রেসের গুরুতর অভিযোগ: ইভিএম এবং স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন
হিমাচল প্রদেশের মন্ত্রী এবং কংগ্রেস নেতা জগৎ নেগি বিজেপির বিরুদ্ধে সরাসরি আক্রমণ করে বলেন, "হরিয়ানার মানুষ গত ১০ বছর ধরে বিজেপির শাসন নিয়ে খুশি নয়। যদি বিজেপি জিততে পারে তবে তা গণতন্ত্রের জন্য দুর্ভাগ্যজনক হবে।" তিনি আরও বলেন, "ইভিএম পরিবর্তন কিংবা অভ্যন্তরীণ হস্তক্ষেপের মতো বিষয়গুলি তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে।" নেগি আরও অভিযোগ করেন যে ফলাফল বিলম্বের মাধ্যমে বিজেপি নিজের সুবিধা নিতে পারে।
হরিয়ানায় বিজেপির এগিয়ে থাকা প্রবণতা
বর্তমান ফলাফলের ধারায়, বিজেপি ৪৭টি আসনে এগিয়ে রয়েছে, যেখানে কংগ্রেস ৩৬টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। অন্যান্য দলের মধ্যে আইএনএলডি ২টি আসনে এবং অন্যান্য ছোট দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৫টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। এখন পর্যন্ত প্রবণতা অনুসারে, বিজেপি যদি এই এগিয়ে থাকা ফলাফলে পরিণত করতে সক্ষম হয়, তবে এটি হরিয়ানার নির্বাচনী ইতিহাসে তাদের সেরা পারফরম্যান্স হতে পারে।
এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেসের দাবি ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি তাদের সমালোচনা নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এখন দেখার বিষয়, শেষ পর্যন্ত ফলাফল কী হয় এবং এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন কী পদক্ষেপ গ্রহণ করে।